বিজয় মজুমদার
বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আটটি ধাপে বিধান সভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ রাজ্যে বিধান সভার মোট আসন সংখ্যা ২৯৫টি। এর মধ্যে ২৯৪ জন সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। অবশিষ্ট একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় থেকে মনোনীত হয়ে বিধান সভার সদস্য হন।
বিগত ২০১৬ সালের বিধান সভায় ২১১টি আসনে বিজয়ী হয়ে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে। দলটির প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায় তবে তিনি মমতা ব্যানার্জি এবং ‘দিদি’ নামে পরিচিত। তিনিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দলের প্রতীক ঘাসফুল । কিন্তু ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ঘাসফুল আবার ফুটবে কিনা সেটার জন্য ১৯ মে ২০২১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই দিনটিতে রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে এবারের নির্বাচনে ঘাসফুলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে পদ্মফুল যা ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির প্রতীক।
ভারতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের নির্বাচন আলাদা। লোকসভা নির্বাচন এ বিজয়ী সাংসদেরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এর ভাগ্য নির্ধারণ করেন আর বিধানসভায় বিজয়ী সাংসদেরা নির্ধারণ করেন রাজ্য সরকার কে হবে। এই কারণে ভারতের কেন্দ্রে যে দলের সরকার থাকে রাজ্যে অনেক ক্ষেত্রে সে দলের সরকার নাও থাকতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা যে, কেন্দ্র থাকে এক দলের সরকার, আর রাজ্যে থাকা অন্য দলের সরকার। বর্তমানে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। উভয় দলের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে টানা পোড়নের সৃষ্টি করে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে বাম দলের শাসনে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিস্ময়কর উত্থান ঘটে। ২০১৬ সালের বিধান সভা নির্বাচনে দলটি মাত্র ৩টি আসন লাভ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলটি ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসন লাভ করে এই প্রদেশে নিজেদের শক্তির আভাস প্রদান করে।
একসময় কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে বামফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামফ্রন্টকে হঁটিয়ে দেন। কিন্তু এই বিজয়ের এর মাত্র ১০ বছরের মাথায় এখন ডানপন্থী বিজেপি হয়ে উঠেছে তৃণমূলের মাথার ব্যথা। বিগত নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি কেবল ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে না তৃণমূলের ঘরের ভেতরেও তালগোল পাকাচ্ছে। বিগত লোকসভার পর থেকে বিজেপিতে যোগদানের একটা হিড়িক পড়ে যায় তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে। কারণ একটাই, এই সকল নেতা ও কর্মীদের মনে হয়েছে সামনের বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গে পদ্মফুল ফুটতে যাচ্ছে।
জরিপ কী
বলে
বিজেপি যতোই দাবি করুক যে পশ্চিমবঙ্গে ‘এবারের সরকার, বিজেপির সরকার’, কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার করা জরিপ ভিন্ন কথা বলছে। তাতে দেখা যাচ্ছে আসন বাড়লেও শাসন ক্ষমতা হাতে পাচ্ছে না বিজেপি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টাইম ডেমোক্রেসির করা জরিপে তৃণমূলের আসন ধরা হয়েছিল ১৫১টি আর বিজেপির ১৩১টি এই জরিপের হিসেবে দেখা যাচ্ছিল প্রদেশে কংগ্রেস ও বামদলের জোটের আসন হবে ৩০টি। মার্চে এসে ক্রাউড উইসডোম এর করা জরিপে তৃণমূলকে আসন দেওয়া হয় ১৩৪টি আর বিজেপিকে ১৩৬টি। এই জরিপ অনুসারে অনুমান করা হয় এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামদলের জোটের আসন হবে ১৯টি। এই একটি জরিপ ছাড়া সাইনিং ইন্ডিয়া, এবিপি সি ভোটার ও টাইমস নাও-এর জরিপ অনুসারে তৃণমূল কংগ্রেস এবারের বিধান সভা নির্বাচনে ১৫০ এর বেশি আসন জিততে যাচ্ছে যা রাজ্যের সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট।
দিদি বনাম
দাদা
তৃণমূলের প্রধান মমতা ব্যানার্জি। বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান দিলীপ ঘোষ দিদির চেয়ে জনপ্রিয়তা পিছিয়ে। প্রায় সকল জরিপে দাদার চেয়ে দিদির এগিয়ে। এর মূল কারণ দিদির সংগ্রামী ইমেজ। এবিপি নিউজ-এর জরিপে দিদির জনপ্রিয়তা দাদার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এতে পশ্চিমবঙ্গের ৫২.২ শতাংশ ভোটার দিদিকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান, আর এর বিপরীতে ২৬.৯ শতাংশ ভোটার চান দিলীপ ঘোষ যেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়।
সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জি অরম্যাক্স মিডিয়ার করা জরিপে ভারতের সেরা পাঁচ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একজন হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
ভাঙ্গা গড়ার
রাজনীতি ও
উপচে পড়া
প্রার্থী
ভোটের আগে পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিতে বেশ ভাঙ্গাগড়ার খেলা চলেছে। একসময় কংগ্রেস ভেঙ্গে বের হয়ে আসা দিদির দল তৃণমূল-এর মন ভেঙ্গে ভোটের আগে দলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনে না দাঁড়ালেও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ভালো সাড়া ফেলেছে। অন্য দল থেকে কর্মী ভাগিয়ে আনার এই কাজ বেশ ভালভাবে সমাপ্ত হলেও দলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বিজেপি ভালোই ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছে।
ভোটের অনেক আগে তৃণমূল এবং কংগ্রেস ও বামদল প্রার্থী নির্বাচন করে ফেললেও বিজেপির পক্ষে সেটি সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রার্থী ঘোষণা করার পরেও দলটিকে খানিকটা বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। এছাড়া প্রার্থিতা ঘোষণার পর মনোনয়ন বঞ্চিতদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলের নেতাদের।
ভোটের আগে
বাগযুদ্ধ
এদিকে ভোটযুদ্ধের আগে প্রধান দুটি দলের মধ্যে তীব্র বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় পা ভেঙ্গে আহত মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘ভাঙ্গা পা নিয়েই খেলা হবে’। বিজেপিকে সবচেয়ে বড় তোলবাজ বা চাঁদাবাজ বলে অভিহিত করেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির হয়ে এর উত্তর দেন এভাবে ‘খেলা হবে না বিকাশ হবে’। সাথে তিনি বলেন দিদির শাসন ভাইপোর শাসন আর এই শাসনে একটি মাত্র উদ্যোগের বিকাশ হচ্ছে সেটা হচ্ছে মাফিয়াদের বিকাশ।
অভিনেতা ও নেতা এবং মাঠের ও রাজনীতির খেলোয়াড়
এবারের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিনেতা, অভিনেত্রী ও খেলোয়াড়দের নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলে এবার টালিউড থেকে প্রার্থী হয়েছেন একগুচ্ছ অভিনেতা অভিনেত্রী। এরা হচ্ছেন কৌশিক মুখার্জি, পিয়া সেনগুপ্তা, মিনালি দাস, সায়ানী ঘোষ, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, রনিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, দীপঙ্কর দে, ভারত কউল, সোহানা খান, সৌরভ দাস, কাঞ্চন মল্লিক। যারা এর আগে থেকে রাজনীতিতে
জড়িত যেমন চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী , সোহম চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তী ,দেবশ্রী রায় ও শতাব্দী রায়ের সাথে তৃণমূলের সেলিব্রেটি মূলে যোগ দিয়েছেন। তারকাদের দলে ভেড়াতে বিজেপিও কম কিসে? বিজেপির হয়ে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন যশ দাসগুপ্ত, পায়েল সরকার, সৌমিলি বিশ্বাস, পাপিয়া অধিকার, হিরেন চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসু, পার্নো মিত্র, কৌশিক রায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। যারা বাবুল সুপ্রিয়, রুপা গাঙ্গুলী ও লকেট চ্যাটার্জির সাথে বিজেপির প্রার্থী হলেন।
খেলার মাঠ থেকে তারকা ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও ফুটবলার প্রসূন ব্যানার্জি তৃণমূলের প্রার্থী। আর বিজেপিতে যোগ দিয়ে এবার নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। এদের সবার লক্ষ্য বিনোদন ও ক্রীড়া মঞ্চের আসর দাপিয়ে এবার রাজনীতির মঞ্চ কাঁপানো।
মুসলমান ভোট
ও রাজনীতি
পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ নাগরিক মুসলমান। যার ফলে প্রদেশের রাজনীতিতে এদের বেশ জোরালো ভূমিকা রয়েছে। এই সকল মুসলমান প্রার্থীদের বেশীরভাগ তৃণমূলের ভোটার। কারণ প্রদেশের মুসলমান ভোটারদের মনে শঙ্কা রয়েছে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিটিজেন অ্যামেনমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ পশ্চিম বঙ্গে প্রয়োগ করবে বিজেপি সরকার যা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এর আগে আসামে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হয়েছিল সে প্রদেশের মুসলমানেরা। সেই একই শঙ্কা পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের। মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূলকে সমর্থন করে কারণ দিদি বলেছেন তিনি ক্ষমতায় থাকতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রয়োগ পশ্চিমবঙ্গে হবে না।
এই প্রদেশের বেশ কিছু জেলা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ যার মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ যেখানে ৬৭ শতাংশ মুসলমানের বাস। এরপরে রয়েছে মালদাহ জেলা যেখানে ৫১ শতাংশ মুসলমানের বাস, উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে ৪৯ শতাংশ মুসলমান ভোটার। এছাড়া কলকাতা ২০ শতাংশ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৩৫ শতাংশ ও উত্তর চব্বিশ পরগনায় ২৬ শতাংশ ভোটার মুসলমান। তবে মুসলমান ভোটারেরা তৃণমূল, কংগ্রেস ও বাম দলে বিভক্ত, যদিও গত নির্বাচনে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি মুসলমান ভোটারদের ভোট পেয়েছিল।
কাঁটা দিয়ে
কাঁটা তোলা
তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি আশা করছে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট তৃণমূলের মুসলমান ভোটার ভাগিয়ে নিয়ে যাবে। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এই দলটি গঠন করেছেন যারা এবারের নির্বাচনে বাম নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চায় যোগ দিয়েছে।
নির্বাচনের ঠিক আগে এ বছর সেকুলার ফ্রন্টের আবির্ভাব। ২১ জানুয়ারি ২০২১ সালে আব্বাস সিদ্দিকী এই দল গঠন করেন। নওশাদ সিদ্দিকী দলটির সভাপতি এবং শিমুল সরেন এর সাধারণ সম্পাদক। দলটি এবারের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোটের সাথে যোগ দিয়ে ২০ টি আসনে তাদের প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচনে তারা জিততে পারুক বা না পারুক, এই সকল প্রার্থী যে যথেষ্ট পরিমাণ তৃণমূলের ভোট বাগিয়ে নেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আসাদুদ্দিন ওয়েইসি নামের এক মুসলমান নেতার দল ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা এমআইএম (মিম) অপ্রত্যাশিত ভাবে বেশ ভালো ফল করে। ভারতের হায়দ্রাবাদ এর তেলেঙ্গানা অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক দল হিসেবে মিম-এর সাফল্য ছিল বেশ অবাক করা। তবে এতে আখেরে লাভ হয়েছিল বিজেপি ও জনতা দল জোটের।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১২৫টি আসনে মুসলমান ভোট ফলাফল নির্ধারক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিজেপির আশা ছিল আসাদুদ্দিনের দল মিম পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রার্থী প্রদান করবে। মিম সবসময় দাবি করে আসছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই দলটি গঠন করা হয়েছে।
মিম ২০০৭ সালে তসলিমা নাসরিন ও সালমান রুশদীকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। পরে দলটির বেশ কয়েকজন সদস্য হায়দ্রাবাদ প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় মিমের তিনজন বিধায়ক বা রাজ্য সভার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আঞ্চলিক দল থেকে ধীরে ধীরে মিম ভারতের মুসলমানদের দল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেকুলার হিসেবে পরিচিত দলগুলো আর লাভবান হচ্ছে ধর্মীয় দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি। যদিও মমতা ব্যানার্জি মিমের কার্যকলাপ রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই বলে যে ওরা বিজেপির বি-টিম। তবে বিস্ময়কর ভাবে মিম এবার পশ্চিমবঙ্গে কোনো প্রার্থী দাঁড় করায়নি যা তৃণমূল ও মমতা ব্যানার্জির জন্য স্বস্তির খবর হলেও আব্বাস সিদ্দিকীর দল তৃণমূলের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে কাঁটা হিসেবে জোরালো ভাবে আবির্ভূত হয়েছে।
জরিপ জনমতের প্রতিফলন হলেও চূড়ান্ত ফলাফল নয়। আর ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে দুটি দলের মধ্যে জরিপের পার্থক্য ততো কমে আসছে। এখন দেখার পালা পশ্চিমবঙ্গে কি আবার ঘাসফুল ফুটবে, নাকি পদ্মফুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ?
লেখক, বিজ্ঞাপনকর্মী ও সমাজকর্মী
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত