বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন
অক্সিজেন
ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। প্রকৃতি থেকে বিনামূল্যে পাওয়া এই সম্পদের গুরুত্ব
আমরা বুঝতে পারি না যতোক্ষণ এর অভাব বোধ না হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে করোনা রোগের
কারণে দেশে এবং বিদেশে অক্সিজেনের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেক গুণ। অনেকে হসপিটালের
পাশাপাশি বাড়িতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার কিংবা সংরক্ষণ করছেন। এই লেখাটি থেকে
পাঠক বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন
সিলিন্ডারের পরিপূর্ণ ব্যবহার বিধি এখানে পাবেন।পাশাপাশি থাকছে অক্সিমিটারের
ব্যবহারের নিয়ম। লেখাটি তৈরি করতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা করেছেন।
মেডিকেল অক্সিজেন
গ্রেড ৯৯.৯৯
কী
আশ্চর্য বাতাসের পাঁচ ভাগের এক ভাগই কিন্তু অক্সিজেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত
ব্যক্তিরা সেই অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেন না বা পারলেও সেটি প্রয়োজনের চেয়ে কম হয়ে
যায়। তখন তাকে দিতে হয় মেডিকেল অক্সিজেন। আর এই অক্সিজেন তৈরি হয় অক্সিজেন
কারখানায়।
মেডিকেল
গ্রেড (৯৯.৯৯%) পিওরিটির অক্সিজেন। এছাড়াও রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে
চিকিৎসকরা তাদেরকে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকেন।
পালস অক্সিমিটার
জ্বর
হলে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্যে আমরা যেমন- থার্মোমিটার ব্যবহার করি তেমনি
রক্তের অক্সিজেন মাপার যন্ত্রের নাম পালস অক্সিমিটার। পালস অক্সিমিটার নামে একটি
সহজ ডিভাইসের মাধ্যমে অক্সিজেনের শতকরা উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। এই পরীক্ষার
জন্য মধ্যমা প্রধান হলেও, তর্জনী বা বুড়ো আঙুলও ব্যবহার হয়। এমনিতে দিনে দু'বার,
আর করোনা হলে প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা অন্তর পরীক্ষা করতে পারেন।
পালস অক্সিমিটারের
ভুল রিডিং ও করণীয়
ক. নখে আলাদা রঙ: যেমন নেইলপলিশ আর মেহেদী
থাকলে অক্সিমিটারের ভেতরের লাইট আটকে দেয়। তখন রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা নাও
হতে পারে। তাহলে কী করা যাবে? ব্যবহারের
আগে নেইলপলিশ তুলে ফেলবেন। দুই হাতে
মেহেদী থাকলে হাতের আঙুল বাদ দিয়ে পায়ের যে আঙুলে যেটাতে অক্সিমিটার বসে সেটাতে
চেক করতে হবে।
খ. হাত-পা খুব ঠাণ্ডা
হয়ে থাকা:
হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে থাকলে সেখানে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। আর
অক্সিমিটার রক্তে অক্সিজেন মাপে। তাই হাত-পা ঠাণ্ডা থাকলে রেজাল্ট ভুল আসতে পারে।
গ. লো ব্লাড পেশার: যদি ব্লাড পেশার কম থাকে
তাহলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। তাই রেজাল্ট সঠিক নাও আসতে পারে।
ঘ. ভুল রিডিং: কিছু রোগের কারণে ভুল রিডিং আসতে পারে। হার্টের ভেতরে যদি সমস্যা থাকে, রক্ত চলাচলে যদি সমস্যা থাকে যেমন : অনেক ডায়াবেটিকস রোগীর রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। আবারও বলি অক্সিমিটার রক্তে অক্সিজেন মাপে। যে আঙুলে অক্সিমিটার পড়েছে সেটাতে রক্ত চলাচল যদি ভালো না হয় যদি কোনো রোগের কারণে বুঝতেই পারছেন রেজাল্ট সঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য হাতে পায়ের আঙুলে চেষ্টা করে দেখতে হবে যদি কোনোভাবেই সম্ভব না হয় তখন আর পালস অক্সিমিটারের ওপর নির্ভর করা যাবে না চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করে আপনার রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ নিরূপণ করবেন।
ঙ. উজ্জ্বল আলো: আপনার রক্তে অক্সিজেনের
পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাইরের আলো যাতে ব্যঘাত না ঘটায় সেজন্যে অক্সিমিটারের
নিজস্ব কিছু প্রযুক্তি আছে।
তারপরেও
খুব উজ্জ্বল আলোতে মাপলে ভুল হতে পারে। তাই বলে অক্সিমিটার কাপড় দিয়ে ঢেকে ব্যবহার
করা লাগবে না। একদম সরাসরি উজ্জ্বল আলোতে না মাপাই ভালো।
চ. ব্লাড মাপার
যন্ত্র:
অনেকের বাসায় ব্লাড মাপার যন্ত্র আছে। যেই হাতে প্রেসার মাপছেন সেই হাতে পালস
অক্সিমিটার দিলে রেজাল্ট নাও আসতে পারে। কারণ ব্লাড প্রেসারের গ্লাফস আপনার হাতের
উপর টাইট হয়ে বসে থাকে। সেটা আপনার হাতের আঙুলে রক্ত চলাচলে বাঁধা দিতে পারে।
ছ. অক্সিজেন লেভেল: অক্সিজেন লেভেল যদি ৭০ এর
নিচে নেমে গেলে অক্সিমিটার আর রেজাল্ট দিতে পারে না।
৮. অক্সিমিটারের ভুল
ব্যবহার:
** ঠিক করে পরা হয়নি।
** পালস অক্সিমিটার বেঁকে আছে।
** আঙুল কাঁপছে, সিগনাল ভালো না ইত্যাদি কারণে
সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যায় না। ঠিক করে পড়তে হবে সিগনালের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যারা
পালস অক্সিমিটার ব্যবহারে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়েছেন আপনারা অবশ্যই
অবশ্যই ডাক্তারের কথা প্রাধান্য দিবেন। যারা পালস অক্সিমিটারের ব্যবহার এখনো বুঝতে
পারেননি তারাও একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
এসব
ক্ষেত্রে একটু বিরতি দিয়ে আবার মাপতে হবে।
মানবদেহে অক্সিজেনের
পরিমাণ ও করণীয়:
ক. একজন সুস্থ মানুষের ৯৬ থেকে
১০০ শতাংশ অক্সিজেন ওঠানামা স্বাভাবিক।
খ. অক্সিজেনের পরিমাণটা ৯৫
(৯৪-৯০) এর নিচে নামলেই একজন চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে।
গ. কিন্তু তা ৯০-এর নিচে (৮৯%)
নামলেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। মাথা, বুক ব্যথা ও হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে
শরীরের অক্সিজেন কমে গেলে। তাই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
ঘ. জরুরি অবস্থা: রোগীর হাত পায়ের আঙুল নীল
হয়ে আসা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীল দাগ দেখা দেয়া, দম নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ব্যথা
করা, ইত্যাদি হলে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অক্সিজেন থেরাপি
প্রয়োগের পূর্বে করণীয় :
ক. অক্সিজেন একটি ঔষধ। তাই
রোগীকে অক্সিজেন দেয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ/ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অক্সিজেন
প্রদানের মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে অক্সিজেন প্রদানের
পরিমাণ এবং অক্সিজেন প্রদানের সময় ভালো করে দেখে নিতে হবে বা চিকিত্সকের কাছ থেকে
জেনে নিতে হবে।
খ. বিভিন্ন ধরনের রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অক্সিজেন থেরাপি দিতে হয়। যেমন: কোভিড-১৯, অ্যাজমা,
স্থুলতা, ফুসফুসের রোগ, হার্টের রোগ, গর্ভবতী মা, বয়স্ক ও অসুস্থ শিশু যাদেরকে
থেরাপি হিসেবে চিকিৎসক অক্সিজেন দিতে বলেন তাদেরকে এই থেরাপি মাত্রা অনুযায়ী দেয়া
হয়।
গ. সিলিন্ডার যাচাই : সিলিন্ডারটি O2 এবং ISO Standard যাচাই করে নিতে হবে।
সিলিন্ডারটি ইনটেক্ট অবস্থায় আছে কি না দেখে নিতে হবে।
ঘ. অক্সিজেন সিলিন্ডার ও
অক্সিজেনের উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ব্যবহারের পূর্বে ভালো করে দেখে নিতে
হবে।
ঙ. অক্সিজেন দেয়ার পর
রোগী পর্যবেক্ষণ করা : অক্সিজেন দেয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট তার কাছে থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করা।
*
অক্সিজেন দেয়ার পর তার পরিবর্তন খেয়াল করা। স্বাভাবিক থাকলে সব ঠিক আছে কিন্তু
বিশেষ প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন
হওয়া।
** যন্ত্রপাতির
দিকে খেয়াল করা: ওয়াটার টিউব, মাস্ক, পানি, মিটার, অক্সিজেন ফ্লোমিটার
ইত্যাদির পরিবর্তন লক্ষ্য করা।
ছ. রোগীর প্রস্তুতি: প্রাকৃতিক
কাজ ও প্রয়োজন সেরে রোগীর প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে তাকে অক্সিজেন দেয়া।
** রোগীকে ৪৫ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে রেখে বিশেষ
মেডিকেল বেডে অক্সিজেন দেয়া।
** বিশেষ মেডিকেল বেড না থাকলে বালিশ (১/২) দিয়ে
মাথাটাকে উঁচু করা।
** তাকে মানসিকভাবে অক্সিজেন দেয়ার জন্যে প্রস্তুত
করা।
** অক্সিজেন দেয়ার উপকারিতার কথা বলা।
**
অক্সিজেন দেয়ার পর তিনি ভালোবোধ করবেন ... সেরে উঠবেন.... সুস্থ হয়ে যাবেন... এটা
তাকে বলা।
** এতে
কোনো পেইন নাই .... বিশেষ কোনো অস্বস্তি নাই এটা তাকে বলা।
**
বিশুদ্ধ অক্সিজেন এটা তার জন্যে উপকারী এটা তাকে বলা।
জ. বাসা বা রোগীর কাছ থেকে আসার
পূর্বে অন্য যারা থাকবেন তাদেরকে অফ-অন ভালো করে শিখিয়ে দিয়ে আসা।
অক্সিজেন সিলিন্ডার
ব্যবহারের সতর্কতা:
অক্সিজেন
সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যথা :
ক. আগুন ধরতে পারে এমন দাহ্য
পদার্থ থেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে।
খ. সিলিন্ডারকে সবসময় সরাসরি
সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
গ. রান্না করার সময় চুলার কাছে
অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা যাবে না।
ঘ. যে ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার
আছে সে ঘরে ধূমপান করা যাবে না।
ঙ. অক্সিজেন ইউনিট বা
সিলিন্ডারে কোনো তেল দেয়া যাবে না।
চ. পিচ্ছিল হাত, তৈলাক্ত এবং
চর্বিযুক্ত হাত দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরা বা ব্যবহার করা যাবে না।
ছ. পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ,
ভেসলিন, তেল এবং তৈলাক্ত যে কোন পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না।
জ. ব্যবহার শেষে অক্সিজেন
সিলিন্ডারটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
ঝ. ব্যবহার শেষে প্রথমে
অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল সুইচ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর লাইনের
অক্সিজেন বের করে দিয়ে অক্সিজেন ফলোমিটারের দ্বিতীয় সুইচটি বন্ধ করতে হবে।
ঞ. পানির জারের ভিতরের পাইপটি
ভালো করে বন্ধ করে রাখা আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হবে।
ট. রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী নাসাল
ক্যানুলা বা ফেইস মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
ঠ. রোগীর সাইজ অনুযায়ী ফেইস
মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
ড. অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে পড়ে
না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঢ. দরজা জানালা খোলা রাখতে হবে।
ণ. সিলিন্ডার সোজা বা খাড়া করে
রাখতে হবে। প্রয়োজনে বেঁধে রাখতে হবে।
থেরাপিতে ব্যবহৃত
মেডিকেল অক্সিজেনের প্রকারভেদ :
ক. অক্সিজেন
সিলিন্ডার (গ্যাস) :
বিভিন্ন রকমের অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে। সাধারণত বাসা বাড়িতে বহুল ব্যবহৃত সিলিন্ডার হলো মাঝারি সাইজের পোটেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার। যার ধারণ ক্ষমতা ১.৪ ঘনমিটার যাতে ১৪০০ লিটার অক্সিজেন থাকে। একে ১.৪ কিউবিক লিটার সিলিন্ডারও বলা হয়। প্রতি মিনিটে ১ লিটার করে অক্সিজেন নিলে ১ ঘণ্টায় ৬০ লিটার এবং এ ধরণের একটি সিলিন্ডার ২০-২৩ ঘণ্টা ধরে ব্যবহার করা যায়। তবে গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘণ্টার পরিমাণ অটোম্যাটিক তা কমে আসবে।
খ. বহনযোগ্য অক্সিজেন
কনসেনট্রেটর :
অক্সিজেন
কনসেনট্রেটর যন্ত্রটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত অক্সিজেনপ্রবাহ (৮২
শতাংশের ওপরে বিশুদ্ধতাসম্পন্ন) নিশ্চিত করে।
এই প্রযুক্তিটির মূল বিষয়টি হলো, যন্ত্রটি বাতাস গ্রহণ করে ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর ভেতর অবস্থিত বিশেষ রাসায়নিক বাতাসের নাইট্রোজেনকে শোষণ করে অক্সিজেনকে আলাদা করে ফেলে। এর ফলে যন্ত্রের ভেতরে অক্সিজেনের ঘনত্ব বেড়ে ৯০-৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়, যা মানবদেহে দেওয়া যায়।
গ. অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম : এটি হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়। সেন্ট্রাল সিস্টেম থেকে রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ অক্সিজেন উৎপাদন ও চাহিদা :
দেশের
হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে ১০০-১২০ টনের মতো অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। এই চাহিদা
পূরণ হয় দেশের উৎপাদনেই। লিন্ডে বাংলাদেশ ৯০ টন ও স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড
২০-৩০ টন অক্সিজেন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে থাকে। ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড
বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে।
কোভিড-১৯ : এখন দেশে দিনে অক্সিজেনের উৎপাদন ৪০০ টন, হাসপাতালে চাহিদা ১৫০ টন। বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি
পর্যায়ে প্রতিদিন ১৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও
হাসপাতালের জন্য প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টন গ্যাস অক্সিজেন উৎপাদনসহ মোট ৪০০ টন
অক্সিজেন দেশেই হয়। পৃথকভাবে (কতটুকু লিকুইড ও কতটুকু গ্যাস অক্সিজেন) বলা সম্ভব
না হলেও বর্তমানে করোনা চিকিৎসায় প্রতিদিন ১২৫ থেকে ১৫০ টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান :
বাংলাদেশে
মেডিকেল গ্রেড (৯৯.৯%) পিওরিটির অক্সিজেন প্রস্তুত করে এবং তারা হাসপাতালগুলোতে
অক্সিজেন প্লান্ট প্রস্তুত করে দেয়। পরবর্তীতে সে প্লান্টে অক্সিজেন গ্যাস সাপ্লাই
করে। এছাড়া হাসপাতালের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে ব্যক্তিপর্যায়ে বা
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রোগীদের জন্য ১.৪ কিউবিক লিটার (১৪০০ লিটার অক্সিজেন ধারণক্ষমতা
সম্পন্ন) সিলিন্ডার বিক্রয় করে। যেগুলো যথাযথভাবে পরীক্ষাকৃত এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে
ব্যবহারযোগ্য সিলিন্ডার।
বাংলাদেশে
মেডিকেল গ্রেড (৯৯.৯%) পিওরিটির অক্সিজেন প্রস্তুত করে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা
ছয়টি, সেগুলো হলো :
ক. চট্টগ্রামের সাগরিকায়
সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ
খ. কালুরঘাট এলাকার স্পেকট্রাম
অক্সিজেন লিমিটেড
গ. নারায়ণগঞ্জের ইসলাম অক্সিজেন
লিমিটেড
ঘ. চট্টগ্রামে আবুল খায়ের
গ্রুপের একেএস স্টিল
ঙ. জিপিএইচ ইস্পাত
চ. বিসিক শিল্পনগরী টাঙ্গাইলের
শিল্প প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসেস লিমিটেড
এসব
প্রতিষ্ঠানের কোনো ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর নেই।
রিফিল: উপরের সব সিলিন্ডারই রিফিল
করা যায়। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত রিফিল চার্জ নেয়া
হয়। প্রতিষ্ঠান ও বাজার ভেদে এই রিফিল চার্জ উঠা নামা করে।
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত