গোপন অগোপন
শশাঙ্ক সাদী
মাথার কাছের সাইড টেবিলে মোবাইলের ঘড়ঘড় কাপুনিতে ঘুমটা ভেঙে যায় সন্তুর। চোখটা না খুলেই হাত বাড়ায় মোবাইলটার দিকে। হাতে আসার পর চোখটা ১২ ভাগের একভাগ খুলে কোন রকমে কল-দাতার নামটা দেখে ধরে কলটা। মোবাইলের ওপাশের গলাটা রাগ আর অবদমিত কান্নার মিশ্রণে একেবারে অন্যরকম। প্রথমে শব্দ বোঝা যাচ্ছে না। মৃত মানুষের গলার ঘড়ঘড়ে শব্দের মতো, যেন প্রাণ আছে আবার নেই। শব্দ আছে তবে অর্থ নেই। দুয়েকবারের চেষ্টায় বুঝতে পারে সন্তু।
এটা কী শুনছি সন্তু?
তুই বলে মিনি -র সাথে ছাড়াছাড়ি করতে চাচ্ছিস। তাই আলাদা থাকা শুরু করেছিস?
তোর এমন ভীমরতি কবে থেকে হলো? তুই কি আমাকে শান্তিতে মরতেও দিবি না?
তোর বাবা শুনলে নির্ঘাত একটা অনাসৃষ্টি করবে হার্টঅ্যাটাকও হতে পারে। কেন তুই একাজ করছিস? আর কবে থেকে তোর এসব বদগিরি শুরু হলো? তুই কি আর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছিস?
এক নি:শ্বাসে মা এতোগুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ওপাশে নীরব হলো, মনে হয় দম নেয়ার জন্য থামলো। সন্তু এই সুয়োগে ঘুম জড়ানো গলায় বললো,
মা, রাত অনেক।
আমি খুব ক্লান্ত, ঘুমাবো। কালকে সকালে কথা বলবো। এখন রাখি মা।
তুমি ঘুমাও, না হলে তোমার শরীর খারাপ করবে
আর বাবাও জেগে যাবে।
নাকি তুমি একা আবার বারান্দায় গিয়ে কথা বলছো?
ঠান্ডা লেগে যাবে মা। দয়া করে এখন ঘুমাতে যাও।
ওপাশে মায়ের ফুপিয়ে ওঠার শব্দ। তারপর বেশ কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। মনে হলো মা ভাবছে।
মা আমি রাখি।
বলেই মা-কে আর কোন কোন সুযোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে দিলো সন্তু। মায়ের এসব প্রশ্নের কী উত্তর দেবে সন্তু ভেবে পায় না। উত্তর দিয়েও যে খুব একটা লাভ আছে তাও না। এতো রাতে মা-র সাথে বাহাস করতেও মন চাইছে না। মা যে ব্যাপারটা খুব সহজে বুঝবে বা বোঝার চেষ্টা করবে তাও না। সব শুনলে মহা একটা হইচই বাঁধিয়ে দেবে। মিনি, আমার প্রাণপ্রিয় বউ, যে জগতের সবচেয়ে যুক্তিবাদী, সব কিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায়, সে ই পারেনি বিষয়টা মেনে নিতে। সন্তু যখন তাকে বলেছে তখন সাড়া বাড়ি ওলট পালট করেছে মিনি। চিৎকার চেচামেচি করে মাথায় তুলেছে পুরো দশতলা। তার চিৎকার আর প্রশ্ন -
সন্তু তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? কী করে সম্ভব?
আমি এই বিশ বছর ধরে তোমাকে জানি, তোমার প্রতিটি রোমকূপ চিনি, তোমার শরীর কোন স্পর্শে কেমন করে জেগে ওঠে তা জানি। জানি তুমি বাইরে গেলে অন্য মানুষের শরীরের স্পর্শ লাগলে কীভাবে বিরক্ত হও তা সে পুরুষ হোক বা মেয়ে। নিজেকে সবসময় পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখো। সেই তুমি কী করে?
মিনি বলেই যাচ্ছিলো -
আমাকে রেখে তুমি অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করো সেটা মেনে নেয়ার একটা ভান করতে পারতাম যুক্তি দিয়ে যে মন-শরীরের আকাঙ্খায় তুমি অমন করেছো। তাই বলে এটা?
সমীরের ভাষায় যাকে বলে একেবারে মহা ক্যাচাল।
আহ্! সমীরের কথা ভাবতেই মন থেকে অন্য সব ভাবনা চলে গেলো। কেমন আকু পাকু করে উঠলো মনটা। সমীরের সাথে দেখা হওয়া আর ভালো করে পরিচয় হওয়ার পর থেকে সব কিছু পাল্টে গেলো সন্তুর। বলা যায় তার সাজানো গোছানো ফ্রেমে বাঁধা জীবনটা ভেঙে চুড়ে এক বন্য আনন্দের উচ্ছলিত ঝর্নায় পরিণত হলো। এ এক বাধ ভাঙা আনন্দ। কোথায় লুকিয়ে ছিলো এ আনন্দ তা জানা নেই। কী করে বাধ ভাঙলো তাও বলা মুশ্কিল। সন্তু শুধু জানে যে আষাঢ়িয়া ঢলের স্পর্শে ভেঙে গেছে বাধ যা ঢাকা পড়ে ছিলো নিয়ম নীতি ভালোবাসার অন্তরালে।
তবে একটা দোমনা ভাব কোনো ভাবেই দূর করতে পারে না সন্তু। সমাজের ভ্রুকুটি বা মানুষের অশ্লীল ভাষা কুড়িয়ে মেরে উড়িয়ে দিতে পারে সন্তু। সে ক্ষমতা ওর ভালোই আছে। কিন্তু নিজের মনের দোমনা ভাব কি করে বদলাবে, কি করে উড়িয়ে দেবে। মিনিকে ও ভালোবাসে জীবন দিয়ে।মিনি ওর সবচেয়ে ভালো বন্ধু যার কাছে সবকিছু খুলে বলতে পারে অবলীলায়। যার সঙ্গে কাটাতে চায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। কোনো ভাবেই ছাড়তে চায় না মিনিকে। আবার ওর যে সমীরকেও চাই।
কী করবে সন্তু?
এতো কথা একসাথে ভাবতে গিয়ে মাথাটা টনটন করে সন্তুর। ধুর ছাই, ঘুমাতে যাই! বলে ডুবে যায় ঘুমে।
দুই.
কোনো রকমেই ঘুম আসছে না মিনি -র। কী হলো আজ! বিছানায় ছটফট করলো কিছুক্ষণ কাটা কই মাছের মতো। নিজের প্রিয় বিছানাটাকে বড্ড অসহ্য লাগছে। মনে হচ্ছে একটা দা এনে কেটে টুকরো টুকরো করে বিছানাটা। বালিশগুলোকে কুচি কুচি করে উড়িয়ে দেয় আটতলার বারান্দা থেকে। রেশমের মতো নরম তুলোর দলা ছড়িয়ে পড়বে রাস্তায়, কার্নিশে। কিন্তু কিছুই করা হয় না মিনির। বেডরুমের এ মাথা থেকে ওমাথা চক্কর দিতে থাকে বারবার। যেন পিন আটকে গেছে ভাঙা রেকর্ডের আলে। মিনি বুঝতে পারছে সব কিছু ভেঙে পড়ছে তার - যুক্তি, বোধ, আবেগ, চিন্তা, ভাবনা - সব কিছু, সব। কত কিছুকে যুক্তির বোধ দিয়ে অবলীলায় তুলে ধরে মিনি তার সহকর্মীদের কাছে, তার মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের কাছে। সম্পর্কের এপিঠ ওপিঠ চুলচেরা বিশ্লেষণে কেমন সহজ অংকে বুঝিয়ে দেয় তার অনুষ্ঠানের দর্শকদের। তার চমৎকার যুক্তি উপস্থাপনায় একেবারে ঘোর বিরোধীরাও মেনে নেয় মিনির তুলে ধরা মনস্তত্ত্বের ছবি। সবাই বলাবলি করে মিনির দক্ষতার কথা। যেভাবে সে ফ্রয়েডের বেঁধে দেয়া শরীর, মন ও অবচেতন মনের সম্পর্কগুলো ভেঙে চুরে তৈরি করে আরো পরাধুনিক বিশ্লেষণ তা পড়ে ও শুনে মুগ্ধ হয় দেশ বিদেশের মনোবিজ্ঞানীরা,
সমাজতাত্ত্বিকরা। বছরে অন্তত দশ-বারোবার অনেকগুলো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিনির জন্য ডাক আসে লেকচার দেয়ার জন্য। সেগুলো কি অপরিসীম দক্ষতায় মিনি সামলায়! আর আরো ঋদ্ধ হয়।
অথচ আজ! ঘরের মধ্যে, নিজের বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে কী হলো তার। সন্তু গতকাল রাতে বিছানায় শুয়ে তাকে কী শোনালো! প্রথমে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনি মিনি যখন সন্তু বললো -
মিনি, তোমাকে একটা কথা বলার ছিল, আর তা বলার জন্য আমি অস্থির হয়ে আছি।
কী বলবে তুমি?
আদুরে গলায় সন্তুর শরীরের সাথে আরো নিবিড় হয় মিনি। সন্তুর শরীরটা মিনির বড় প্রিয়। সন্তুর শরীরটা কাঠাল কাঠের মতো অমন কর্কশ শক্ত না, আবার সজনে গাছের ডালের মতো নরমও না। বরং দুটোর সংমিশ্রণ। এই মধ্য যৌবনে এখন আর শরীরী বন্য টান নেই দুজনার কিন্তু মিনি সন্তুর শরীরটার সাথে লেপ্টে থাকে যখনই ঘুমাতে যায়। মিনির সারাদিনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায় সন্তুর শরীরে লেপ্টে গেলেই।
আমার একটা কথা তোমাকে আমার বলতেই হবে, না বলে আর পারছিনা মিনি।
বলো, বলে ফেলো।
কিন্তু কীভাবে যে বলবো আর তুমি কী করবে সেটা শুনে তা ভেবে কথাটা বলাই হচ্ছে না বেশ কিছুদিন।
অমন যদি অস্থিরতা হয় তাহলে বলে ফেললেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
ঠিক আছে। বলবো তবে কথা দিতে হবে যে তুমি আগে ভালো করে শুনবে তারপর ভাববে আর তারপর তোমার প্রতিক্রিয়া জানাবে। যেভাবে তুমি তেমার ওয়ার্কশপে বলো সেভাবে।
দেখো এতো ভনিতা করো না তো সন্তু। তোমাকে ভনিতাতে মানায় না তা তুমি ভালো করেই জানো। চোখ না খুলে আরো ল্যাপ্টে গিয়ে বলে মিনি।
তুমি আমাকে একটা কথা বলবে আর সেটা নিয়ে এতো ভাববে তা হবে না।
আমি জানি সেটা। কিন্তু এই কথাটা বলতে গিয়ে আমি যে বারবার আটকে যাচ্ছি।
ধুর ছাই! বলতে ইচ্ছে না করলে বা আরো ভাবতে ইচ্ছে করলে ভাবো। কালকে সকালে বলো। এখন আমি তোমাকে ধরে আরাম করে ঘুমাবো, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
না তুমি ঘুমাবে না। তোমাকে শুনতে হবে।
কী? কোন মেয়ের সাথে আবার প্রেমে পড়েছো? না কি কেউ তোমাকে ভালোবাসা জানিয়েছে? তোমার অফিসের নতুন কলিগ? কী জানি নাম? মনে পড়েছে। সইনি। হালকা গলায় বলে ওঠে মিনি।
সইনি নামটা বাপের জন্মে শুনিনি। শুনলেই ডাইনি ডাইনি মনে হয়। আর মেয়েটাও তো বেশ। ঢলে ঢলে কথা বলে। তোমাকে তো সেদিন তোমার অফিসের অনুষ্ঠানে চোখের আড়ালই করছিলো না! আমার কিন্তু বেশ ঈর্ষা হচ্ছিলো তোমাকে।
তুমি এসব বলে আমার মাথাটা আবার গরম করো না তো। এগুলো এখন সব ছেলে আর মেয়েরাই করে যখন অফিসে নতুন যোগ দেয়। এটা এরা প্রতিবেশি দেশের সব বড় ম্যানেজারদের কাছ থেকে রপ্ত করেছে।
তুমি কিছু হলেই ইন্ডিয়ানদের দোষ দাও কেন? ইওরোপীয়রা কি ওসব কম করে? আর নতুন ছেলে মেয়েরা তো বেশিরভাগই বাইরে পড়ে আসা মানে ইওরোপ, আমেরিকা বা কানাডায় পড়ে আসা। কজন ভারতে পড়ে এসেছে? আর তোমরা ন্যাকা সেজো না। নেয়ার সময় তো বেছে বেছে এগুলোকেই নাও। চোখ দিয়ে সেক্সের জন্য।
তুমি আবার লেকচার শুরু করলে? আমি কী কথা বলতে চাই আর তুমি কোন দিকে কথা নিলে?
আমার খুব বিশেষ একটা কথা আছে।
সন্তুর গলার স্বরে কিছু একটা ছিল। মিনির আদুরে ভাবটা হঠাৎ কেটে যায়। মুখটা একটু উঁচু করে তাকায় সন্তুর দিকে। সন্তু দেয়ালের দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে। দেয়ালের দিকেই তাকিয়ে আছে কিন্তু মিনি নিশ্চিত সন্তু দেয়াল দেখছে না! কেমন যেন করে ওঠে মিনির বুকের ভেতর। সন্তু কি কোনো কারণে ওর ওপর অভিমান করেছে? মিনি জানে যে সন্তুর অনেক কষ্ট হলেও মিনিকে সে সহজে বলবে না যদি মিনি কষ্ট পায় তা ভেবে। কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে মিনি বুঝে ফেলে যে কিছু একটা গড়বড় আছে। সন্তুকে কেমন যেন অসহায় অসহায় লাগছে। ডান হাতটা বাড়িয়ে দেয় মিনি, আলতো করে রাখে সন্তুর বাম গালে। তারপর নরম গলায় বলে -
কী হয়েছে তোমার? খারাপ কিছু? এতো মন খারাপ কেন? আমাকে বলো তুমি।
আমি জানি না কীভাবে তোমাকে বলবো। আমি জানি তোমার খুব কষ্ট হবে বা তুমি ভুল বুঝবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সব টুকু তুমি শুনলে আমাকে ভুল বুঝবে না। তুমিই পারবে আমাকে বুঝতে। তুমি তো আমার মিনি।
আচ্ছা, আমি সবটুকু শুনবো, বলো এখন।
মিনি, আমি না আরেকজনকে ভালোবাসি।
হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে মিনি।
একটু আগে যখন বললাম তখন তো একেবারে ফোঁস করে উঠলে। আমি তো জানি! মোল্লার দৌড় কোন পর্যন্ত আর আমার সন্তুর কোথায়। চিন্তা করো না। তোমার এটা কাটতে দিন কয়েক লাগবে তারপর আগের মতো হয়ে যাবে। এটা তো বড় কিছু না। তুমি তোমার ওষুধগুলো নিয়ম মতো খাচ্ছো তো?
মিনি, আমি সব নিয়ম মতো খাচ্ছি আর জাকিরের কাছে সেশনেও যাচ্ছি। আর কোন মেয়ের প্রতি আমার কোনো ভালেবাসা হয়নি সোনা।
তাহলে? কী বলছো কিছু বুঝতে পারছি না। খুলে বলো।
আমি সমীরকে ভালোবাসি মিনি। অনেক অনেক ভালোবাসি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না।
সমীর? মানে একটা ছেলে? কী বলছো তুমি?
সমীর শুধু কোন ছেলে না, আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন। তোমাকে যেমন ভালোবাসি তেমনই।
চিৎকার করে ওঠে মিনি-
কী বলছো তুমি? এ কী বলছো?
তুমি কিন্তু সব কিছু না শুনে চিৎকার করছো। অন্য ফ্লাটের ওরা কী বলবে! এতো রাতে ওমন চিৎকার করো না। তুমি কিন্তু কথা দিয়েছো যে সব কিছু আগে শুনবে।
তোমার কথার নিকুচি করি।
পেশাগত সব ঋদ্ধতা ভেঙে পড়ে মিনির। ও ভুলে যায় নিজের দক্ষতা, যুক্তি বোধ। লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামে মেঝেতে। মাথায় অসহ্য রাগ ছাড়া আর কিছুই নেই মিনির। নিজের ওপর সব নিয়ন্ত্রন হারায়। এতো বছরের সংসারে যা কখনো হয়নি তাই করেছে মিনি। সবটুকু মনেও নেই। শুধু এতটুকু মনে আছে যে সন্তুকে আচড়ে কামড়ে একাকার করে ঠেলতে ঠেলতে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ছিল। কোনো কিছুই আর শুনতে চায়নি সন্তুর।
এখন হঠাৎ করে মনে হলো আরো কী বলার ছিলো সন্তুর।
আনমনে ডেকে ওঠে মিনি - সন্তু তুমি কোথায়?
ক্রমশ ....
উন্নয়নকর্মী, কবি
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত