মুস্তাকিম আহমেদ
১৯৯৮, পাকিস্তান।
স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোতে তারা আসছেন। পরনে সাদা এপ্রোন।
মায়েদের তারা বোঝাচ্ছেন নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প আছে !
‘বিশেষ এই কোম্পানির ফর্মুলা দুধ খেলে নবজাতকের পুষ্টি হয়, তারা দ্রুত বেড়ে উঠে।’
সাদা এপ্রোনের কারণে এই অল্প শিক্ষিত মায়েরা তাদেরকে চিকিৎসক কিংবা নার্স ভাবছেন। সরল বিশ্বাসে তাদের কথা শতভাগ বিশ্বাস করছেন।
এই সাদা এপ্রোন পরিহিতারা আদতে কিন্তু চিকিৎসক, নার্স কোনটাই নন।
তারা মারাত্মক মুনাফা লোভী এক পরিচিত বহুজাতিক কোম্পানির সুচতুর বিক্রয় প্রতিনিধি।
পিছিয়ে নেই সত্যিকারের শিশু বিশেষজ্ঞরা। লোভনীয় উৎকোচের বিনিময়ে তারাও মায়ের দুধের বদলে এই ফর্মুলা দুধ এর নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে দিচ্ছেন।
যে সময়ের কথা বলছি তখন পাকিস্তানে বিশুদ্ধ খাবার পানির প্রচণ্ড সংকট।
মায়েরা নোংরা পানিতে এই ফর্মুলা দুধ মিশিয়ে নবজাতকদের দিচ্ছেন।
ফলাফল?
ডায়রিয়াতে শতশত নবজাতকের করুণ মৃত্যু।
এই ঘাতক ফর্মুলা দুধের প্রস্তুতকারী- নেসলে।
কত বড় এই নেসলের সাম্রাজ্য?
“পৃথিবীতে এমন কোন দেশ আছে কি যেখানে আমাদের পণ্য পাওয়া যায় না?
আমাদের জানা মতে নেই!”
হেনরি নেসলের হাতে এই নেসলে সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন। সালটা ১৮৬৬। বর্তমানে সুইটজারল্যান্ডের ভেভেয় শহরে নেসলের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
নেসলে ছাতার নীচে শিশু খাদ্য, কফি, চকোলেট ইত্যাদি মোট ব্র্যান্ডের সংখ্যা ২০০০ এরও বেশি।
১৫০ বছর ধরে নেসলে সমগ্র পৃথিবীতে নিজেদের বাজার তৈরি করেছে। ২০২২ সালের শুধু প্রথম ৬ মাসে তাদের আয় ৪৫ বিলিয়ন ডলার ( ৪২,৭৫০ কোটি টাকা)।
চলুন জেনে নেয়া যাক তাদের অসততার ইতিহাস।
অসততা আর নেসলে সমার্থক
সৈয়দ আমির রাজা হাসান।
প্রত্যক্ষ করলেন এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। ৪ মাসের একজন নবজাতককে হাসপাতালে এনেও বাঁচানো গেল না। মারাত্মক ডায়রিয়া এবং পানিশূন্যতা শিশুটির জীবন কেড়ে নিল।
পরবর্তীতে জানা যায় এই নবজাতককে কেবল ১ মাসের জন্য মাতৃদুগ্ধ পান করতে দেয়া হয়েছে।
ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ফর্মুলা দুধ দেয়া হয়। এরপর টানা ৬০ দিনের ডায়রিয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
সৈয়দ আমির রাজা হাসান জানতে পারেন তিনি যে কোম্পানিতে চাকরি করেন তারাই এই ঘাতক ফর্মুলা দুধের প্রস্তুতকারী।
তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
বিবেকবান আমির শুধু ইস্তফা দিয়ে ক্ষান্ত হন না। শিশু হত্যাকারী এই কোম্পানিকে তাদের অনৈতিকতা বন্ধ করতে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
শুরু হয় এক অসম লড়াই।
কোম্পানিটার নাম- নেসলে, ঘটনাস্থল-শিয়ালকোট, পাকিস্তান।
নেসলের মত শক্তিধর বহুজাতিক কোম্পানির সাথে আমিরের এই একক লড়াই আমাদেরকে ডেভিড আর গোলিয়াথের লড়াইকে মনে করিয়ে দেয়।
হত্যা হুমকি মাথায় নিয়ে আমির নেসলেকে পাকিস্তানে তাদের ফর্মুলা দুধ উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিস পাঠান।
আমিরকে নিরস্ত্র করতে নেসলের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই কোম্পানির কর্মকর্তাদের কুটচালে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠলে আমির পারি জমান বিদেশে।
ইউরোপ এবং কানাডায় তিনি আত্মগোপনে থাকেন দীর্ঘ সাত বছর। এ সময়ে এক বারের জন্য তিনি নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরতে পারেন নি, দেখতে পারেন নি মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান কাউকে।
তিনি দেশে ফেরার আগেই তার মা, বাবা দুজনেই মারা যান।
সৈয়দ আমির হোসেনের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাইনি।
অবশেষে ২০০২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররাফ মাতৃদুগ্ধ এবং শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন।
এই আইনের মাধ্যমে মায়ের দুধের বিকল্প খাদ্য বিপননের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
তবে যুদ্ধ জয় এখনো হয় নি। সেই অধ্যাদেশ জারি করার এক দশক পর ২০১২ সালে সেভ দি চিলড্রেন, পাকিস্তানের ডাক্তারদের নিয়ে একটি জরিপ করে।
এই জরিপে প্রায় ২০% ডাক্তার ফর্মুলা দুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। ডাক্তারদের অকৃপণ উপহার বিলিয়ে যাওয়া কোম্পানিদের সর্বাগ্রে চলে আসে একটি নাম…………নেসলে।
দি নেটওয়ার্ক, পাকিস্তানের একটি বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করেন।
নেসলের কীর্তিকলাপ ফাঁস করে তারা একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এই রিপোর্টটি ছাড়া পাকিস্তানে মাতৃদুগ্ধ এবং শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে এমন অধ্যাদেশ জারি হতো না।
রিপোর্টটির শিরোনাম বেশ মজার, “ মিল্কিং প্রফিট”।
এর বাংলা কী হবে, “মুনাফা দোহন?”
শিশুদের মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে যে সাম্রাজ্য
শিশু খাদ্য কেলেংকারি এবং সাধারণ মানুষের নেসলে পণ্য বর্জনের শুরু সেই সত্তর এর দশকে। শুধু শিশুদের জন্য ক্ষতিকর খাবার নয়, তাদের বিক্রয় কৌশল নিয়েও এসময়ে জোর প্রতিবাদ শুরু হয়।
নেসলে, অক্ষর জ্ঞানহীন অসচ্ছল মায়েদের কাছে তাদের ফর্মুলা দুধ নিয়ে যেত। তাদের পোষ্য চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিতেন ফর্মুলা দুধের নাম।
তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকাতে তাদের কৌশল ছিল আরও মারাত্মক। সেখানে গরীব, অশিক্ষিত মায়েরা ফর্মুলা দুধ পেতেন বিনামূল্যে।
এই দুধ সুচতুর ভাবে মায়েদের ততদিনের জন্য দেয়া হতো, যতদিন একজন মা তার সন্তানকে নিজের বুকের দুধ পান না করালে, মায়ের শরীরে দুধ তৈরির সহজাত ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে মায়েদের সন্তানের জন্য নেসলের ফর্মুলা দুধ না নিয়ে কোন উপায় ছিল না।
আফ্রিকাতে নবজাতকেরা নেসলের ত্রুটিপূর্ণ ফর্মুলা দুধ খেয়ে অপুষ্টিতে ভুগে মারা যেত।
নেসলের এই ভয়াবহ অপরাধ প্রথম সামনে আনে ব্রিটেনের দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, “নিউ ইন্টারন্যাশনালিস্ট” (১৯৭৩)এবং “ওয়ার অন ওয়ান্ট” (১৯৭৪)।
পরবর্তীতে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক থার্ড ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন গ্রুপ এই বহুজাতিক কোম্পানিটির উপর প্রতিবেদন বের করে,“শিশুদের হত্যা করে নেসলে।“
নেসলে থার্ড ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন গ্রুপ -এর বিরুদ্ধে মামলা করে। দু বছর ধরে চলা এই মামলায় নেসলে জিতে গেলেও থার্ড ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন গ্রুপকে জরিমানা করা হয় মাত্র ৪০০ ডলার।
উপরন্তু বিজ্ঞ বিচারক নেসলেকে তাদের বিপণনের ধরন পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন।
১৯৭৬ সালে ঘটনাটি ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে যখন টাইম ম্যাগাজিন এই রায়কে থার্ড ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন গ্রুপ এর নৈতিক বিজয় হিসেবে ঘোষণা করে।
পরিবেশ দানব নেসলে
নেসলের কথা ও কাজ বরাবরই পরস্পর বিরোধী।
তারা দাবি করছে ২০৫০ সালের মধ্যে তারা হবে শতভাগ পরিবেশ বান্ধব।
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ এর বিপরীত।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টিকারী কোম্পানির নাম নেসলে।
পরিবেশ বিপর্যয়ে তারা নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে হাজির হচ্ছে।
নেসলে’র একটি জনপ্রিয় কফি ব্র্যান্ড নেসপ্রেসো।
ক্যাপসুলের মত ছোট ছোট পাত্রে এই কফি বিক্রি হয়। নেসপ্রেসো’র পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় প্লাস্টিক এবং এলুমিনিয়াম।
প্লাস্টিক এবং এলুমিনিয়াম বর্তমান বিশ্বের পরিবেশ বিপর্যয়ের দুই অন্যতম নির্মম অনুঘটক।
নেসলের বিভিন্ন ফ্যাক্টরি পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে আসছে।
২০২০ এর অগাস্ট মাসে ফ্রান্সের এইন নদীতে নেসলের একটি ফ্যাক্টরি জৈবিক বর্জ্য ফেলে। এই
নদীর ৭ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া এলাকার সমস্ত মাছ এতে মারা যায়।
পূর্ব ফ্রান্সের আডেন ফিশিং ফেডারেশন নেসলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
এ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মিশেল অ্যাডাম বলেন, “ আমি গত ৪০ বছরে এই মাত্রার দূষণ দেখিনি। ভয়াবহ। এইন নদীকে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে দুই থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে।“
এইন নদীর যে পরিমাণ মাছ নেসলের কারণে মারা গেছে সেই পরিমাণ মাছ ফিরে পেতে সময় লাগবে দীর্ঘ দশ বছর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অধিবাসীরা ২০২১ সালে গত বারোশ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম খরা প্রত্যক্ষ করে।
নেসলে আঠার শতকের শেষ ভাগ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন ঝর্না, নদী থেকে পানি উত্তোলন করে আসছে।
খরার মত মারাত্মক সংকটেও নেসলে তাদের পানি উত্তোলন বন্ধ করতে অপারগতা জানায়।
এই অঞ্চলে একদা বহমান নদী এবং ঝর্না আজ আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়ে শুধু ২০২০ সালেই নেসলে এই এলাকা থেকে ৫৮ মিলিয়ন গ্যালন পানি উত্তোলন করে।
বলা হয় মুনাফা লোভী নেসলেকে থামানো গেলে প্রকৃতি আবার তার আগের রূপ ফিরে পাবে।
ম্যাগি ম্যাগি ম্যাগি !
বর্তমান বিশ্বে চাহিবা মাত্র নুডুলস (পড়ুন ইনস্ট্যান্ট নুডুলস) বলতেই নেসলের ম্যাগি নুডুলস।
সাল ২০১৪, উত্তর প্রদেশ, ভারত।
উত্তর প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তর ম্যাগি নুডুলস এ উচ্চমাত্রায় মনোসোডিয়াম গ্লিটামেট (এমএসজি) এর অস্তিত্ব পায়।
এ্মএসজি খাবারের ঘ্রাণবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
মনোসোডিয়াম গ্লিটামেট নামটা অপরিচিত লাগলেও এর ডাক নাম কিন্তু আমাদের সবার জানা!
“টেস্টিং সল্ট”।
অথচ ভারতে ম্যাগি’র উজ্জ্বল হলুদ প্যাকেটের গায়ে লেখা,”এতে MSG নেই।“
নমুনা পরীক্ষায় এই ব্র্যান্ডের নুডুলসে যে পারদ পাওয়া যায় তা অনুমোদিত মাত্রা থেকে অনেক বেশি।
বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার পর ভারতের খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নেসলেকে সম্পূর্ণ ভারত থেকে ম্যাগি নুডুলস সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়।
২০১৫ সালের ৫ জুন থেকে ১ সেপ্টেম্বার তারিখের মধ্যে নেসলে ভারতে তাদের জনপ্রিয় নুডুলস ম্যাগি’র অগণিত প্যাকেট ধ্বংস করতে বাধ্য হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৩৮,০০০ টন (৩ কোটি ৮০ লক্ষ কেজি)।
বলিউড মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত নেনে, প্রীতি জিনতার মতো তারকারা ম্যাগির বিজ্ঞাপন করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। মামলার জেরে তাদের আদালত পর্যন্ত যেতে হয়।
এখানেই শেষ নয়।
ভোক্তাদের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করে নেসলের বিরুদ্ধে মামলা করে খোদ ভারতীয় সরকার। দাবীকৃত অর্থের পরিমাণ ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেই সময়ের হিসেবে ৬.২ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি।
ঠাকুর ঘরে কে রে? নেসলে কিন্তু কলা খায় নি!
বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে এমন কোম্পানিদের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে একটি আইন আছে।
নিজেদের ব্যবসার মাধ্যমে কোন মানব পাচার, দাসত্ব, যৌন দাসত্ব, শিশুশ্রম হচ্ছে কিনা জানিয়ে এই কোম্পানিগুলোকে রিপোর্ট তৈরি করতে হয়।
এই আইন কোম্পানির খরচ বাড়াবে, রিপোর্ট তৈরিতে সময় লাগবে এমন অজুহাতে নেসলে আইনটির বিরোধিতা করে।
ক্রেতাদের প্রতি সদয়(?) নেসলের হাস্যকর খোঁড়া যুক্তিটা অনেকটা এরকম-
“রিপোর্ট তৈরির অতিরিক্ত খরচ পরবর্তীতে ক্রেতাদের বহন করতে হবে।”
শিশুশ্রম নেসলের ঘৃণ্য অপরাধের মধ্যে অন্যতম। তাদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ আছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট ইন্টারন্যাশনাল।
বিভিন্ন দেশের সরকার, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, প্রভাবশালী কোম্পানিদেরকে তারা মানবাধিকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরামর্শ দেয়।
কফি উৎপাদনে বেপরোয়া শিশুশ্রম পেয়ে তারা নেসলের কফিকে আখ্যা দেয়, “দাস স্বাদের কফি।“
শিক্ষক ও সমাজকর্মী
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত