English
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রকাশঃ ২০২৪-০৮-২০ ১৬:৪২:৫৩
আপডেটঃ ২০২৪-০৯-১৭ ০২:১৩:২১


জেন জি: গ্রাফিতিতে বাংলাদেশ

জেন জি: গ্রাফিতিতে বাংলাদেশ


জেনারেশন জেড বা জেন জি’ তাদেরকেই বলা হয় যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। তবে মোটা দাগে নব্বই দশকের শেষ ভাগ থেকে ২০১০ দশকের প্রথম দিকে জন্ম নেয়া প্রজন্মকেই জেন জি বলা হয়। ত্রিশ বছরের নিচে ১৪ বছরের বড় প্রজন্মই হলো জেনারেশ জেড।

 

দৈনিক প্রথম আলো ১০ এপ্রিল ২০২৩ সালে প্রকাশিত পৌনে পাঁচ কোটি তরুণের  দেশ, কর্মক্ষম মানুষ ৬২ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়,বাংলাদেশের চূড়ান্ত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন, যার মধ্যে ২৮ শতাংশ তরুণ। আর ৬২ শতাংশ মানুষই কর্মক্ষম। তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশে। মোট জনসংখ্যার ভাগের ভাগ এখন তরুণ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় কোটি ৭৪ লাখ। জনশুমারি গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। তারুণ্যের পাশাপাশি দেশে কর্মক্ষম মানুষের পাল্লাও ভারী। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় যা ১০ কোটি ৫০ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।




জেন জি-দের নিয়ে নানা রকমের কথা শোনা গেলেও ২০২৪ সালে তারা আবির্ভূত হয় ভিন্ন চরিত্রে যা এর আগে কেউ ভাবতেও পারেন নি। বিশ^ জুড়ে করোনাকালীন ট্রমায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জেনারেশনের নাম জেন জি। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ২০২৪ সালে তাদের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদী উত্থানের মধ্য দিয়ে এক বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দিয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

 

সাম্প্রতিক সময়গুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে যে গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্র তারা এঁকে চলেছেন তার মধ্য দিয়ে তাদের মনোভাবের প্রকাশ যেমন ঘটছে তেমনি তাদের চিন্তার বহুমুখী বিষয়টিও বোঝা যাচ্ছে। দেয়ালচিত্রগুলোকে তারা তাদের নিজস্ব ভাষা প্রকাশভঙ্গি অকপটে প্রকাশ করছেন।

এই জেনারেশনের বৈশিষ্ট্য তারা অকপট এবং এদের অধিকাংশই মিথ্যা কথা বা প্রতিশ্রুতিকে পছন্দ করেন না। একই সঙ্গে এই জেনারেশন খুব আবেগপ্রবণ হলেও বাইবে তেমন প্রকাশ করেন না।

 

রক্ত গরম, মাথা ঠাণ্ডা,পানি লাগবে, পানি,আমিই বাংলাদেশ,বিকল্প কে? আমি আমরা ইত্যাদি নানা ধরনের দেয়াল লিখনে তাদের নিজস্ব মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।



তেমনিঅর্জনের পথটা সহজ ছিল না,রেজিস্টেন্স,উই ওয়ান্ট জাস্টিস,শিক্ষার্থী দমানো সহজ না রুখবে কে?,দাবায়ে রাখতে পাররা না,বাংলাদেশের বুকে নেমেছে হাজার আবু সাইদ, ৭১ দেখিনি, ৫২ দেখিনি, ২৪ দেখেছি,স্বাধীন,দ্বিতীয় স্বাধীনতা,স্বাধীন বাংলা ইত্যাদি লেখার মধ্য দিয়ে তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীননতার পাশাপাশি সামাজিক মুক্তির বিষয়টিও ফুটে ওঠে।

ধর্ম যার যার, দেশ সবার,পাহাড় থেকে সমতল বাংলাদেশ সবারকথাগুলোর মধ্য দিয়ে তাদের অসাম্প্রদায়িক মনোভাব ফুটে ওঠে।



বিশ^ উত্থানে চলো বাংলাদেশ,বাংলাদেশ রিলোডিং,বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো,স্বাধীনতা এনেছি, এবার আনি সভ্যতা,ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ জাতীয় লেখনির মাধ্যমে দেশ নিয়ে তাদের স্বপ্ন আশাবদটিই সব খানে ফুটে ওঠে।

 

এম. জেড


ক্যাটেগরিঃ প্রধান কলাম, জীবনধারা,