১. ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ ভর্তি হয়ে গেলে, ফোন স্লো হয়ে যায়। সেজন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো আনইন্সটল করতে হবে। শুধু তাই নয় হোয়াটসঅ্যাপে আগত মেসেজ/ফাইল ডিলিট করলেও স্টোরেজ খালি হয়।
২. প্রযুক্তি সম্পর্কিত তথ্য অনুযায়ী, চার মাস পরপর ফোন রিসেট করা প্রয়োজন। বিভিন্ন অ্যাপের ক্যাশে ক্লিয়ার করলে সেটিংসের স্টোরেজ অপশনে গিয়ে পুরানো ডেটা ডিলিট করাও যেতে পারে।
৩. সাধারণ এসডি কার্ড ব্যবহার না করে, ফাস্ট এসডি কার্ড ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ইন্টারনাল স্টোরেজ থেকে ফটো বা ভিডিও গুগলে সরিয়ে রাখতে পারেন।
৪. হোম স্ক্রিনে থাকা অপ্রয়োজনীয় ডিটেইলস সরালে ফোনের গতি দ্রুত হয়।
৫. সেটিংসে গিয়ে ‘অ্যানিমেশন অফ’ বোতাম প্রেস করলেও ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়।
৬. ফোন স্লো হয়ে গেলে ফোনকে একবার রিস্টার্ট করা দেখা অবশ্যই দরকার। এর ফলে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে টেম্পোরারি ফাইলগুলি ডিলিট হওয়ার সাথে সাথে ফোনের মেমোরিও ক্লিন হয় যার মাধ্যমে গতি বাড়ে।
৭. প্রতিমাসে মোবাইল ফোনের সিকিউরিটি আপডেটগুলো নিয়মিতভাবে মোবাইলে ইন্সটল করা। সাধারণত সিকিউরিটি আপডেটগুলোতে আগের ভার্সনের সমস্যাগুলো দূর করা হয় এর ফলে ফোনটি অনেকটাই ফ্রেশ হয়ে যায় এবং ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়।
৮. প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো নিয়মিতভাবে আপডেট করা ও দরকার এতে অ্যাপগুলোর কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হয় এতে অ্যাপগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
৯. অনেকেই একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট ব্যবহার করে থাকে এবং যদি অটো সিঙ্ক অপশনটি অন করা থাকে তাহলে অ্যাকাউন্টগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে সিঙ্ক হতে থাকে এর ফলে ফোনটি স্লো হয়ে যায় তাই অটো সিঙ্ক অপশন বন্ধ করে রাখলে ফোন স্লো কম হয় এবং ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়।
১০. থার্ড পার্টি লাঞ্চার এবং কাস্টম রম ব্যবহার করেও ফোনকে ফাস্টার করা যায়। কাস্টম রম এবং লাঞ্চার হয়তো বা ফোনের হার্ডওয়্যার-এর কোনো উল্ল্যেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পারে না কিন্তু কিছু কিছু রম এবং লাঞ্চার আছে যেগুলো সিপিইউ এবং মেমোরি খুবই কম ব্যবহার করে থাকে যার ফলে ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়।
এই পদ্ধতিগুলো ছাড়াও আপনার আপনার ফোনের স্লো হয়ে যাওয়া দূর করার জন্য প্যাটার্ন লক অথবা পাসওয়ার্ড এর পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা, শুধুমাত্র ওয়াইফাই কানেকশনে আপডেটগুলো দেওয়া, ফোনের এক্সটার্নাল মেমোরির পরিবর্তে ইন্টারনাল মেমোরিতে অ্যাপস ইন্সটল করেও আপনার ফোনটি ফাস্টার করতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফোনটিকে অত্যন্ত যত্নসহকারে ব্যবহার করা এবং
যেন-তেন ফোন না কিনে ভালো ব্রান্ডের, ভালো কনফিগারেশনের একটি ফোন কেনা। ফোন কেনার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত অন্য আরেকটি লেখায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
লেখক পরিচিতি
মইনুল ইসলাম মিঠু
আইটি ডিপার্টমেন্ট
ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি:
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত