ড. তাজিয়া সরদার
একটি কথা প্রচলিত আছে যে, ‘অতিথি হিসেবে কোথাও গেলে বেশিদিন থাকতে নেই। তাতে সম্মান কমেযায়।’ এই যে করোনা ভাইরাস, কোভিড-১৯, কতো নামেই না যার পরিচয়, তার অবস্থাই দেখুন না- মার্চ মাসেবিশ্বব্যাপী যে কদর সে পেয়েছিল, সম্মান পেয়েছিল, এখন কি আর সেই কদর , সম্মানটা সে পাচ্ছে?
না, পাচ্ছে না।
যদিও করোনা এখনো আমাদের সবার দৈনন্দিন চিন্তার মধ্যমণি হয়ে আছে তবে আগের সেই আতঙ্ক, ভয়অনেকটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি । আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন, স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রেঅন্তত, আমরা সাহসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী। করোনা ভাইরাস এখন আমাদের জীবনের একটা খুব সহজস্বাভাবিক সত্য। তবে এই সত্যটাকে কীভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, সে বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমরাআরো সচেতন হয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। আমাদের মানব দেহ প্রতিনিয়ত লক্ষ-কোটি জীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াকে মোকাবেলা করেই বেঁচে আছে। একইভাবে করোনার সঙ্গেও মোকাবেলা করে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে, এবং তার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি নজর দিতে হবে।
আপনি কি জানেন মাত্র এক সপ্তাহ বেড রেস্টে থাকার ফলে আমাদের দেহের মাংসপেশীর ১২% ওয়েস্টিং হয়, হাড়ের ক্ষয় হয়? তার মানে একজন মানুষ যদি এক মাস বেড রেস্টে থাকেন তাহলে তার দেহের প্রায় ৫০% মাসল মাস লস হতে পারে এবং এ কারণে যারা দীর্ঘ সময় বেড রেস্টে রয়েছেন তাদের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে, শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়। অনেকেই যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠতে অন্তত ২-৩ সপ্তাহ সময়লেগেছে, এবং এ অসুস্থতার কারণে তাদেরকে কম বেশি বিছানায় থাকতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে তাদেরপেশী ক্ষয় হতে শুরু করে শারীরিক দুর্বলতা বাড়তে শুরু করেছে। আমাদের শরীর যখন দুর্বল থাকে, তখন আমাদের ইমিউন সিস্টেমও আরো বেশি দুর্বল হয়ে যায়।
বর্তমানে আমরা সামগ্রিকভাবে নিজেদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি:
১. যারা করোনা ভাইরাস দ্বারা এখনো আক্রান্ত হন নি, কিন্তু সচেতন আছেন এবং এটা প্রতিরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহী।
২. কিছু সংখ্যক মানুষ আছেন যাদের করোনা হয়েছে, এবং হোম কোয়ারেন্টিন করেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
৩. আর শেষ ভাগে আছেন যারা করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে বা আইসিইউ-তে থাকার পর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
এ তিনটি ক্ষেত্রেই দীর্ঘসময় বেড রেস্টে থাকার কারণে তাদের শরীরের দেহকাঠামো এবং শ্বাসযন্ত্রে বা ফুসফুসে দুর্বলতা তৈরি হয়েছে এবং এরা সকলেই ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশন এক্সারসাইজ করে শরীর ও ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে ফিজিক্যাল থেরাপি কী এবং এই ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আমাদের শারীরিক কী কী উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে সহজ এবং সংক্ষেপে যদি বলি তাহলে বলবো যে, ফিজিক্যাল থেরাপি একজন মানুষের সক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়, ব্যথা উপশম করে বা কমায়, স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতাকে ফিরিয়ে আনে এবং বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধ করে।
করোনা ভাইরাসে আক্রমণ হওয়ার ফলে যে সকল লক্ষণ যেমন জ্বর, কাশি, দুর্বলতা, এবং ফুসফুসের ওপর গুরুতর আক্রমণের ফলে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে বাতাসের অভার বোধ তৈরি হয়েছে , এগুলো থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সময় আমাদের যে দুই থেকে তিন সপ্তাহ বেড রেস্ট নিতে হয়েছে, চলাফেরা কম হয়েছে, এবং ফুসফুসের ওপর যে চাপ পড়েছে, এগুলো থেকে দ্রুত শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ফিজিক্যাল ফিটনেসবৃদ্ধির জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি বিশেষ ভাবে কার্যকরী হতে পারে।
ফিজিক্যাল থেরাপি বা ফিজিওথেরাপি, যেমন অসুস্থতা, দুর্বলতা, বিকলঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হতেপারে, তেমনি ভাবে যে কোনো স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ ও ফিজিক্যাল থেরাপি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তিনি তারশারীরিক সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করতে পারেন। যেমন ধরুন, অ্যাথলিটরা ফিজিক্যাল থেরাপি এর মাধ্যমেতাদের শারীরিক ফিটনেস এবং এনডুরেন্স বা শারীরিক সহিষ্ণুতা অর্থাৎ দীর্ঘসময় কোনো শারীরিককার্যক্ষমতাকে ধরে রাখা/ কন্টিনিউ করা, যেমন ধরুন, আপনি দুই মিনিট খুব সহজেই দৌড়াতে পারেন, কিন্তুযাদের ফিজিক্যাল ফিটনেস এনডুরেন্স বৃদ্ধি করেছে তারা দীর্ঘসময় ২/৩ ঘন্টা মডারেট স্পিডেও দৌড়াতেপারবেন। একজন ক্রিকেট খেরোয়াড়ের দীর্ঘসময় মাঠে খেলার জন্য এই ফিজিকাল এনডুরেন্সেরই প্রয়োজনহয়। একজন ফিজিক্যাল থেরাপি স্পেশালিস্ট একজন অ্যাথলিটের এনডুরেন্স সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমেবৃদ্ধি করাতে পারেন।
আপনি, আমি, যারা অ্যাথলিট নই, সাধারণ, স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি, আমাদেরও এনডুরেন্স বৃদ্ধিরপ্রয়োজন আছে। যেমন ধরুন, আমরা ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে পারি, কিন্তু তার বেশি হলে ব্যথাকরে। স্পেসিফিক মাসল ট্রেইনিংয়ের মাধ্যমেই আমরা এই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার ক্ষমতাকেও বৃদ্ধিকরতে পারি। আমরা কিছুদূর হাঁটলেই যদি হাঁপাতে শুরু করি, তাহলে বুঝতে হবে যে আমাদের শরীরেরমাংসপেশীর এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা দুটোই হ্রাস পেয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য দিক দিয়ে সুস্থস্বাভাবিক হলেও ফিজিক্যাল থেরাপি স্ট্রেনথ ও কন্ডিশনিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে আমরা আমাদেরকোয়ালিটি অফ লাইফ উন্নত করতে পারি।
এখন আসা যাক, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এবং ফাইট করার জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি রিহেবিলিটেশনকীভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। করোনা প্রতিরোধের একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে আমাদেরইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা। করোনা ভাইরাসের একটি বৈশিষ্ট্যহচ্ছে যে শরীরে খুব দ্রুত পুরো ফুসফুসে ইনফ্রামেশন বা প্রদাহ তৈরি করে, যার ফলে, নিঃশাস নিতে কষ্ট হয়, নিঃশ্বাসের হার বেড়ে যায়, শর্টনেস অফ ব্রেথ বা হাঁপানি শুরু হয় । যার কারণে রক্তকোষে পর্যাপ্ত পরিমাণঅক্সিজেন এক্সচেঞ্জ না হওয়াতে অনেক জটিল অবস্থায় রোগীর গায়ের রঙ নীলও হয়ে যেতে পারে।
আমাদের মধ্যে যাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল উদাহরণস্বরূপ, যাদের দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসেররোগ রয়েছে যেমন অ্যাজমা বা সিওপিডি- ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিডিজ বা যারা চেইন স্মোকারতাদের ফুসফুসের স্বাভাবিকের চেয়েও কম। এছাড়াও স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি থেকে শুরু করে, সার্জারি,ক্যানসার এবং নানাবিধ রেসপিরেটরি কম্প্রোমাইজড বা শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগে ভোগা রোগীদের ওপরবিভিন্ন গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, এসব কারণে যাদের পালমোনারি ফাংশন বা ফুসফুস সংক্রান্তকার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে আছে, তাদের ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রেসিস্টিভ ইনসপিরেটরি মাসল ট্রেইনিংখুবই কার্যকরী। এটা করার একটি সহজ পদ্ধতি হলো, একটি ইনসেনটিভ স্পিরোমিটার ডিভাইস এর মাধ্যমেকনট্রোলড ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নেয়ার চর্চা করার ফলে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতাবৃদ্ধি পায়।
একজন ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট এধরণের রোগীদের সঙ্গে রেসিস্টিভ ইনসপিরেটরি মাসল ট্রেইনিংয়ের মাধ্যমেফুসফুসের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারেন। করোনাতে আক্রান্ত থাকা অবস্থাতেও ইনসেনটিভস্পিরোমিটারের মাধ্যমে ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ১০ বার এ এক দফা এভাবে প্রতিদফা শেষে , কাশি দেয়ারমাধ্যমে তাদের ফুসফুসের থেকে মিউকাস সিকরেশন বের করে দিতে সহায়তা করতে পারেন। এভাবে প্রতিঘন্টায় তিন দফা করে চর্চা করলে এটার ফলে তার নিঃশাস নেওয়া আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে, ফুসফুসক্লিয়ার হবে।
আর যারা শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন তাদের অ্যারোবিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে কার্ডিওপালমোনারিফাংশন বৃদ্ধি এবং রেসিস্টিভ স্ট্রেনথ ট্রেইনিং করা প্রয়োজন। ট্রেডমিলে লো বা নিচু থেকে মডারেট ইনটেনসিটি (আপনার সহ্যক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে) শুরুতে পাঁচ থেকে দশ মিনিট, এবং রিকামবেন্ট বাইক লো টু মডারেট ইনটেনসিটি তে পাঁচ থেকে সাত মিনিট টার্গেট হার্ট রেট জোনে সপ্তাহে তিন-চার দিনএক্সারসাইজ করলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই দৃশ্যমান ফিজিক্যাল এবং পালমোনারি ফাংশনের উন্নতি দেখাযাবে। এ ধরনের মেশিন আমাদের ব্যাক ইন মোশন ফিজিওথেরাপি ক্লিনিকে সহজলভ্য করা হয়েছে রোগীদেরজন্য।
আর আমরা এখন ঘরে বসেই যেটা শুরু করতে পারি কোনো ইকুইপমেন্ট ছাড়াই, সেটা হচ্ছে ডিপ ব্রিদিংএক্সারসাইজ বা গভীর দমচর্চা। আমরা অধিকাংশ মানুষই আসলে সঠিক দমচর্চা করিনা। ফুসফুসেরকার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক দম চর্চার প্রক্রিয়া রয়েছে। একটি সহজ এবং স্বাভাবিক দমের প্রক্রিয়া হলো, নিঃশ্বাস নিতে দুই সেকেন্ড, ছাড়তে তিন সেকেন্ড সময় লাগা উচিত, বা ইন্সপিরেটরি টু এক্সপিরেটরি রেশিও২:৩।
নিচের কয়েকটি ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার মাধ্যমেও আমরা আমাদের ফুসফুসের কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধিকরতে পারি।
১. পারসড লিপ ব্রিদিং: ঘাড় এবং কাঁধের মাংসপেশী রিলাক্স করে আরাম করে মেরুদন্ড সোজা করে বসুন।মুখ বন্ধ করে দুই সেকেন্ড নিঃশ্বাস টেনে নিন, তারপর ঠোঁট দিয়ে বাঁশি বাজানোর মতো করে ঠোঁট গোল করেধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। দম ছাড়তে ছাড়তে এক, দুই, তিন, এভাবে মনে মনে গুনলে সহজ হবে।লক্ষ রাখবেন যেন নিঃশ্বাস জোর করে ছাড়া না হয়, এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার থেকে ছাড়ার সময় যেন সব সময় বেশিহয়।
২. ডায়াফ্রেগমেটিক ব্রিদিং: আরাম করে ফ্লাট সারফেসে শুয়ে পড়ুন, দুই পা হালকা ভাঁজ করে রাখতে পারেন একটি বালিশ দুই পায়ের নিচে দিয়ে, বা আপনি চেয়ারে বসেও করতে পারেন। চেয়ারে বসলে দুই পায়ের পাতা মাটিতে ফ্ল্যাট থাকবে। এবার এক হাত বুকের উপরের অংশে রাখুন, আরেক হাত রাখুন বুকের খাঁচার ঠিক নিচে। হাত এভাবে করে রাখাতে ডায়াফ্রেমের সঠিক ওঠানামাটা বুঝতে সহজ হবে। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিন, দম নেওয়ার সময় খেয়াল করবেন পেট ফুলে বড় হচ্ছে, আর বুকের উপরের অংশ একেবারেই নড়বে না। এবার ধীরে ধীরে এই টেকনিকের মতো ঠোঁট বেশি বাজানোর মতো ফুলিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। দম ছাড়ার সময় অ্যাবডোমিনাল মাসলগুলো সংকুচিত করবেন, যাতে পেট ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকে। এভাবে ১৯ বার করলে এক দফা। প্রতি ঘন্টায় এক দফা করে করতে পারেন, বা চাইলে বেশিও করতে পারেন।
এছাড়াও আরো দুই ধরনের ফিজিওথেরাপি ট্রেনিং :
১. আপনার বডি বা শরীরের উপরের অংশের স্ট্রেনংথেনিং এক্সারসাইজ বিশেষ ভাবে কার্যকরী হয়ে থাকে অ্যাজমা, সিওপিডি রোগীদের জন্য। কারণ এই ধরনের এক্সারসাইজগুলো রেসপিরেটি মাংসপেশীগুলোর শক্তি বাড়ায়। মাংসপেশী ক্লান্ত না হওয়া পর্যরাত ক্রমাগত মাংসপেশীকে সংকুচিত করে।
২. কার্ডিওভাসকুলার বা
অ্যারোবিক এক্সারসাইজ হচ্ছে দেহের বড় মাংসপেশীগুলো ব্যবহার করে ধীর প্রকৃতির শারীরিক কার্যক্রম যা আমাদের শরীরের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করে, শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ চর্চা করার ফলে হার্ট রেট এবং ব্লাডপ্রেসার হ্রাস পায় এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হাঁটা, জগিং করা, স্টেশনারি বাইকিং করা, রোয়িং মেশিন ব্যবহার করে শরীরচর্চা, অথবা সাঁতার কাটা এসবগুলোই অ্যারোবিক এক্সারসাইজের উদাহরণ । আমাদের ব্যাক ইন মোশনের কার্ডিও পালমোনারি রিহাবিটলিটাশনের অংশ হিসেবে রয়েছে রিকামবেন্ট বাইক, ট্রেডমিল ট্রেইনিং এবং রেসিস্টিভ স্ট্রেনংথ ট্রেইনিং।
আমরা এই বছরটা যখন শুরু করেছিলাম তখন হয়তো জানতাম না, যে পরবর্তী আটটি মাস আমাদের কীভাবে কাটবে, আমরা জানতাম না যে আমাদের অনেকেরই দুই থেকে চার মাস ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হবে। একটি ছোট্ট ভাইরাস বা অণুজীব আমাদের সবার জীবনকে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করেছে। তবে আমরা হয়তো এই কঠিন সময়টা পেরিয়ে যেতে চলেছি। করোনাকে আসলে ভয় পাবার কিছু নেই, কিন্তু করোনা আমাদের এটা বুঝিয়ে গেছে যে রোগ প্রতিরোধে আমাদের নিজেদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার কোনো বিকল্প নেই; নিজেকে ফিট রাখা, মনকে প্রশান্ত রাখা, ইমিউন সিস্টেমকে সদা সক্ষম রাখার কোনো বিকল্প নেই আর ফিজিক্যাল থেরাপি সেই কাজটিই সুন্দর ভাবে করতে আমাদের সহায়তা করে।
লেখক পরিচিতি:
ড. তাজিয়া সরদার
ঢাকার গুলশানে আমেরিকান পদ্ধতিতে পরিচালিত ফিজিওথেরাপি সেন্টার ব্যাক ইন মোশন-এর চেয়ারম্যান। তিনি নিউ ইয়র্কের স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্যাল থেরাপির ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে একই ইউনিভার্সিটির হেলথ সায়েন্স বিভাগ থেকে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তিনি হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বা স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা নিয়ে গভীর অধ্যয়ন করেন। ড. তাজিয়া সরদারের রয়েছে বহুমুখী কাজ করার অনন্য অভিজ্ঞতা। ইনপ্যাশেন্ট অ্যান্ড আউটপ্যাশেন্ট অর্থপেডিকস, অ্যাকিউট কেয়ার, আইসিইউ, আউটপ্যাশেন্ট নিউরোলজি, জেরিয়্যাট্রিকস বা বার্ধক্যকালীন স্বাস্থ্য সেবা, স্পোর্টস ইনজুরি রিহ্যাবিলিটেশন বা খেলাধুলায় আঘাতজনিত সমস্যা এবং অপারেশন পরবর্তী মেরুদণ্ড, কাঁধ, কোমর, হাঁটু, গোড়ালির স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে তার কার্যকর দক্ষতা আমেরিকায় ব্যাপক আস্থা ও জনপ্রিয়তার জন্ম দেয়। ড. তাজিয়া সরদার তার অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে আগ্রহী।
ড. বিজন কুমার শীল বিস্তারিত
বিপরীত স্রোত প্রতিবেদন বিস্তারিত
ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী বিস্তারিত
যারিন মালিয়াত অদ্রিতা বিস্তারিত
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান বিস্তারিত
উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আ.. বিস্তারিত
বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আই.. বিস্তারিত
বাংলাদেশ তখনো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ.. বিস্তারিত
ব্রেদিং আউট বার্ডেন নামে কর্ম.. বিস্তারিত