English
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-২৩ ০৬:০৮:৪২
আপডেটঃ ২০২৫-০১-২৭ ২১:৫৫:১২


দশ মিশালী জাদুর দেশের যদুর কথা

দশ মিশালী জাদুর দেশের যদুর কথা

রাগিব উদ্দিন আহম্মদ

 

জাতি হিসেবে একটা মেরুদণ্ডহীন জাতিতে পরিণত হয়েছি যাদের কর্মক্ষমতা সৃজনশীলতা সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে অপ্রয়োজনীয় শিক্ষা  আর  নেতৃত্বের অভাবে অর্ধশতক সময়ে  এমন একটা প্রজন্ম তৈরি করেছি যারা এখন কর্মহীন, অক্ষম, সার্টিফিকেটধারী কতোগুলো পোল্ট্রি মুরগি ছাড়া আর কিছুই নয়আধার খাও আর ডিম পারো।’ আমরা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে গেছি, দুর্বল হয়ে গেছি সাময়িক চাকচিক্য দেখে কাঁচের টুকরোকে হীরকখণ্ড মনে করছি দুচারটা ব্যতিক্রমকে মিডিয়ায় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে টিকটিকিকে এমনভাবে কুমিরের বাচ্চার মতোন দেখাচ্ছি যেন দেশে প্রতিভাবানের বান এসেছে যাও কিছু হচ্ছে তারা উচ্চতর শিক্ষার নামে বিদেশি কোম্পানির ডলার পেয়ে দেশের টাকাকে চানাচুরওয়ালার ঠোঙার কাগজ মনে করে বিভূঁইয়েই জীবন সেট করে নিচ্ছে এগুলো দেশের সম্পদ না হয়ে, হয়েছে কুলাঙ্গার এদেশের মাটির ফসল আর নুন খেয়ে গুন গাইছে আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার

 

আমাদের কোনো অধিকার নাই শান্তি উপভোগ করার যতক্ষণ পর্যন্ত শান্তিময় পরিবেশ  সৃষ্টি করতে পারছি, আমাদের কোনো অধিকার নাই কোনো কিছু ভোগ করার যতক্ষণ পর্যন্ত তা উৎপাদন করতে পারছি এখন পৃথিবীতে আগে তৈরি জিনিস বা ধারণা নির্ভর, সবকিছু এদিক থেকে ওদিক করে আমরা জীবন চালাচ্ছি, এভাবে চলতে পারবে না নতুন পরিবেশ, সামগ্রী, জীবনবোধ আর ধারণা তৈরি করতে চাই, সৃজনশীলতা প্রযুক্তির অপব্যবহার অপরের উপর অতি নির্ভরশীলতা, নিজেদের কর্মহীনতার কারণে, একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সে শূন্যতার মধ্যে সৃজনশীলতা বলে কিছু থাকছে না, সৃজনশীলতা কমতে কমতে একসময় শূন্যের কোঠায় চলে আসবে তখন নতুন কিছু তৈরি করতে পারব না তা শান্তি বা বেঁচে থাকার সামগ্রীই হোক কাজেই আমাদেরকে এখন চলমান সবকিছু ভুলে সৃজনশীলতার দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিত

 

আমাদের আরও সচেতন হতে হবে সচেতনতা মানে আমি যতোটুকু নেব তার চেয়ে বেশি দেব যাতে আরো দশজন ভোগ করতে পারে একা বেঁচে থাকব ধারণা ভুল একাই সবকিছু উপভোগ করবো একা বড়লোক হব আর তা হতে হবে অল্প সময়ে একটা পরিবার, বংশীয় পরিচয় পেতে কয়েক জেনারেশন লাগতো, তাদের ভালো কাজ, ব্যবহার, এলাকার জন্য কিছু করা বা দেশের জন্যে কিছু করার মাধ্যমে

এখন এক প্রজন্ম নয়, একজন মানুষ পড়াশোনা শেষ করে কর্ম জীবনে নেমেই চায় তার একটা নিজস্ব বাড়ি থাকবে, গাড়ি থাকবে, বেশ বড় একটা ব্যাংক ব্যালেন্স থাকবে, রাতারাতি বড়লোক হবার যে প্রবণতা তা হচ্ছে-নিজে কিছু না করতে পারার বহিঃপ্রকাশ অল্প হলেও নিজেকে কিছু তৈরি করতে হবে- আমি যা ভোগ করবো তার চেয়ে বেশি পরিবারকে, সমাজকে, দেশকে, এবং বিশ্বকে আমাকে দিতে হবে তাহলেই বিশ্বে টিকে থাকবে আর এগিয়ে যাবে তাহলে না হলেই পৃথিবী খুব দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে / যাচ্ছে আমরা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে তাই পশ্চিমা বিশ্বের নাসার মতো বিজ্ঞান সংস্থা চিন্তা করছে মানুষকে ২১০০ সালের ভিতর অন্য গ্রহে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে ২০৩৩ সালে নাসা একদল মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পাঠাবে এটা হবে ওয়ান ওয়ে জার্নিযারা যাবেন তারা আর ফিরবেন না সেখানে বাঁচতেও পারেন, মরেও যেতে পারেন

যখন পশ্চিমা বিশ্বের মানুষ তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের জোরে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করবে আমরা তখন আমাদের ঘরে একটা ছোট্ট মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার তেল পাব না আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সংবাদ পাব। দেখবো তারা কীভাবে আছে কীভাবে তাদের সভ্যতা গড়ে তুলছে মঙ্গল গ্রহে আর আমরা এখানে বসেই দলাদলি মারামারি-কাটাকাটি খুনাখুনি আর বড় বড় বক্তব্য ঝাড়বো আর ফেসবুকে নানান লেখা লিখব আমি এই করোনা ভাইরাস-এর সময় ফেসবুকে অবলোকন করলাম মানুষ সবাই ধীরে ধীরে মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে। তাই তাদেরকে ভিন্নখাতে ফেরানোর জন্য ভিন্ন ভাবনা বলে এক হাজার থেকে বারোশো শব্দের কিছু লেখালেখি শুরু করলাম কয়েকটি  এপিসোড যেতে দেখলাম কেউ পড়ে না, কারো পড়ার সময় নেই, অথচ এই করোনা ভাইরাসের  সময় সবাই গৃহবন্দি হয়ে বসে আছে সবাই বলছে কারো কিছু করার নাই। তাই মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে আমার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, নতুন আরেক এপিসোড, প্রচেষ্টা গ্রহণ করলাম জাস্ট হান্ড্রেড ওয়ার্ডস নামে একটা লেখা শুরু করলাম (১০০ শব্দের কিছু বিতর্কিত বিষয়ের অবতারণা, যাতে মানুষ এগুলো পড়েনানান মন্তব্য করবে, তাদের সময়ও কাটবে আর বিতর্কিত বিষয়ের কিছু ভালো সমাধান আসবে দশটার সিরিজ লেখার পরে বুঝলাম এই ১০০ শব্দের লেখাও (যা মিনিটে পড়া যায়) কেউ পড়তে চাইছেন না। তাই সেই ১০০ শব্দের দশটি লেখাকে সংকলন করে এখানে দেয়ার একটা চেষ্টা চালালাম, আপনারা পড়ে দেখুন এগুলো হয়তো আপনাদের জীবনে কোনো না কোনো কাজে আসবে

আয়নায় যেমন নিজকে দেখা যায় কর্মে নিজের আত্মাকে নিজকে আবিষ্কার করুন কী করেছেন এতোটা সময় শ্রেফ বেঁচে থাকার জন্যেই কি জীবন, বেঁচেতো অনান্য প্রাণীরাও থাকে, তা হলে তাদের সাথে আমার, আপনার পার্থক্য কোথায়

“পৃথিবীর % মানুষ  চিন্তা করে, % চিন্তা করে যে তারা চিন্তা করছেন বাকি ৯৫% চিন্তা শুরু করার আগেই মারা যান

-জর্জ বার্নার্ড শ

 

জাস্ট হান্ড্রেড ওয়ার্ডস


পর্ব -

আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

এখন কারোই সময় নেই, লেখা পড়ার এখন তো অফুরন্ত সময় থাকার কথা, ভাইরাসের কারণে যারা ঘরে বসে ভাবছেন, সময় কী করে কাটবে? ঘড়িটা যেন ধীরেই চলছে

ফেসবুকে লেখার চেয়েও রংচঙে ছবির কদরই বেশি বিষয় বস্তুঃ প্রয়োজনীয়, জ্ঞানের কথা, আধ্যাত্মিক মান উন্নয়ন, সংকীর্ণতা বর্জন, এমনকি ধর্মীয় কথা, যাই হোক তা পড়ার চিন্তা করার ব্যবহার করার কারো সময় নেই অজানা নেশায়, আরো চাই, রাতারাতি বড়লোক হতেই প্রায় সবাই এক পাগলাঘোড়া দাবড়াতেই ব্যস্ত

সব বিবেচনায় আমার নিয়মিত উপস্থাপনার আরেক নীরিক্ষা ধর্মী উদ্যোগঃ জাস্ট হান্ড্রেড ওয়ার্ডস। আশা করি যৎসামান্য সময় আপনাদের নিতেই পারি আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় আছি

পর্ব -

ভয়

Amygdala মস্তিষ্কের অংশ আমাদের আবেগ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে

 

Emotional Salience, যখন কিছুর উপস্থিতি / অনুপস্থিতিতে সক্রিয় হয় না, তখনই আমরা ভয় পাই

চোখ বেঁধে অন্ধকার ঘরে রেখে চোখ খুলে দেয়া হলো কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না, ভয় লাগছে সময়ে ভয়ের মাত্রা বাড়তেই থাকবে আলো জ্বালিয়ে ঘরের স্বনামধন্য শিল্পীদের ছবি তখন নিজকে কী মনে হবে? অজানা বা অজ্ঞতা ভয়ের উৎস্য লজ্জা, ঘৃণা, ভয় যতো করে ততো হয়

মৃত্যুভয়, Thanatophobia,  সবচেয়ে ভয়ংকর পবিত্র কোরআন মজিদের সূরা নিসা, ১৩১ আয়াতে, "তোমরা সবাই ভয় করতে থাক আল্লাহকে" এটাই তাকোয়া, ঈমানের ভীত মৃত্যু ভীতিকে জয় করেই দুঃসাহসিক কাজে, হিমালয় থেকে প্রশান্তমহাসাগরের গভীরে আমাবস্যায় Night Diving করেছি

 

পর্ব -

দায়ী কে?

আজকাল ঘটনা ঘটলে তার দায় কেউ স্বীকার করছে না, বোমা ফুটলেই সন্ত্রাসী সংগঠন স্বীকার করে, গর্ব ভরে

আজকের পরিবার, সমাজ, দেশ, বিশ্ব, আমাদেরই সৃষ্টি কিন্তু সমাজের দায় ভার কেউ নিতে চাচ্ছেন না, নিজকে নিরাপদ রাখতেই

বাচ্চাটা যখন কোনো ভুল করে তাকে বাবা শাসন করতে গেলে মা মাঝে এসে দাঁড়ায় রাস্তাঘাটে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে হাজার লোকের ভিড়ে, ছবি, ভিডিও করে, প্রতিবাদ করতে আসেলই মাফ করে দেন এই মাফ করতে করতেই অপরাধের বোঝা আজ ভোগান্তির মূল কারণ ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে 

স্বাধীনতার পর বড় অর্জন ভয়, প্রতিবাদ করলেই ঝামেলায় পড়তে হবে সমাজের  মেরুদণ্ড শিক্ষাকে (দুর্বল প্রাথমিক শিক্ষা, ব্যয়বহুল  উচ্চ শিক্ষায়) ভেঙে দেয়ারই প্রতিফলন

 

পর্ব -

Mnemonic (মেমননিক

অক্ষরের, সংক্ষিপ্ত ধারণা, বড় কিছু মনে রাখতে সহায়ক যেমন "বেনিআসহকলা" VIBGYOR,  রংধনুর রং মনে রাখা শিখেছিলাম

ছেলে হলে বল খেলে, মেয়েরা পুতুল ক্লাস ফাইভে মনে হলো খেলা প্রয়োজন! প্রিয়, জ্ঞানী  শিক্ষক মোজাম্মেল স্যারকে বললাম খেলতে চাই (ছোট বেলায় মিস বুশ  শিখিয়ে ছিলেন Fun, Learn, Earn (Knowledge). কী খেলতে চাস? স্যার সবচেয়ে জটিল সৃষ্টি নিয়ে খেলতে চাই স্যার বললেন আগামীকাল, পরদিন জানলাম "মস্তিষ্ক", সেই থেকেই শুরু

 

বরফের ঘনত্ব .০৭২% কম, পানিতে ভাসে, ১২% উপরে ভাসে বাকিটা নিচে আমাদের মস্তিষ্কের % সচেতন, বাকিটা অবচেতন, ৮৬ বিলিয়ন নিউরনের সন্মলিত ফলাফল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ২০০± বিলিয়ন তারার চেয়ে বেশি সক্রিয়, সমন্বয়ে কাজ করে

 

পর্ব -

কমন সেন্স আর কমন সায়েন্স

 

অশিক্ষিত কৃষকের কমনসেন্স এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে বলেই, কৃষি কাজ করেন, হাজার বছরের সন্নিবেশিত শিক্ষার ফসল

আমাদের শিক্ষাঃ সিলেবাসে আটকানো কয়েক বছরের ডিগ্রি জেলে পানি, মাছ, জলাশয়, মৌসুম, সম্পর্কে জানেন, একজন মৎস্যবিজ্ঞানীর কাছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য

প্রকল্পে, উদ্ভিদবিজ্ঞানী নিয়োগ দিই, পনের দিন কাজ করে দশটি গাছ শনাক্ত করেছেন বাংলাদেশে পাঁচ হাজার প্রজাতির স্থানীয় কবিরাজকে ১০০ টাকা করে দেবে তোমার বেতন  থেকে গাছ চিনবে, পরদিনেই আড়াইশো গাছের নাম নিয়ে ফিরলেন কবিরাজ গাছ চিনে, তা দিয়ে চিকিৎসায় কিভাবে ঔষধ বানানো যায় তাও জানেন

বিশেষ জ্ঞানে কমনসেন্স অব্যবহৃতই থাকে আমি সার্টিফিকেটকে স্যালুট করি, কিন্তু নিজেরগুলোর ব্যবহার করিনি

 

পর্ব -

Predation is a Biological INTERACTION.

পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর পদ্ধতি উদ্বৃত্ত আরেকজনের খাবার হয় বেশি উৎপাদন ঘাসের, তাই মাংসাশীদের চেয়ে তৃণভোজী বেশি সব জ্ঞানই প্রকৃতি লব্ধ

বড় দেশ ছোট দেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করে একাধিক প্রতিবেশীর সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক, জটিল কূটিল

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বৃটিশরা বাধ্য হয়ে ভারতবর্ষ ছাড়ে ধর্মের বিবেচনায় ভারত আর পাকিস্তান বানরের পিঠাভাগ, ১৯৪৭- কেউই সহঅবস্থান না করতে পারে, তারই বিষ ফোঁড়াকাশ্মীর ভারত এক খোঁচা দিলে পাকিস্তান পূর্বে দেয় গুতো

১৯৬৫ প্রতিষ্ঠিত হলো গুতোগুতির অবসানের আমরা শুরুতেই পশ্চিমা বিদ্বেষী হই ভাষায়, বুঝে গেল হারাতেই হবে তাই যতো পারো শুষে নাও। নিলো, ভারত বাঙ্গালীদের মাঝে প্রীতি আর ভীতি তৈরি করলো

 

পর্ব -

সৃজনশীল মানুষ কি জন্মায় না তৈরি করা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে উত্তর বিহীন অবস্থায়ই বিরাজ করছে

সৃজনশীলতা, নতুন কিছু, অনন্য মাত্রা যোগ করে সৃজনশীলতা ক্ষেত্রে বিশেষে আবশ্যকীয়: শিল্পকলা, স্থাপত্য, নকশাবিদ্যা, ইত্যাদি

ডাক্তার বন্ধু নিজের ব্যস্ততায়, মেয়েকে নিয়ে ছবি আঁকা শেখায়, সবাই কি শিল্পী হয়?

Philip Diehl, ১৮৮২ সিলিং ফ্যান আবিষ্কার করেন ১৩৮ বছরে না জানি কতো বিলিয়ন মানুষ তা ব্যাবহার করছি, তাদের 'জন তাকে চেনেন বা নাম মনে রেখেছেন

আলোর দিশারী বৈদ্যুতিক বাতি থেকে অসংখ্য আবিষ্কার করে মানব সভ্যতাকে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন, টমাস এডিসন; স্টিভ জবস, বিলগেটসদের নাম আসছে লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চি, পিকাসো, এঞ্জেলোদের নাম পিছনে চলে যাচ্ছে

 

পর্ব -

Hyperreligiosity

অতিধার্মিকতামানসিক সমস্যা 

ধর্মের নিজস্বতা আছে, তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সব ধর্মেই নিষেধ দেশে ধর্মের নানান ভাগ আছে

ধর্মের বিভাগ, বিকৃতি, ধর্মের অনুসরণকারীদের সৃষ্টি ধর্মকে ভাগ করে দুর্বল করে দেয়া হয়েছে ধর্মান্ধতা, অজ্ঞতা, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ষড়যন্ত্র হতেও পারে

Hyperreligiosity থেকে Epilepsy হয়ে, কেন্দ্রীয় স্নায়ুর কর্মক্ষমতা কে ব্যাঘাত ঘটায় Psychotic disorders থেকে মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তা থেকে বিচ্যুত হয়

বাংলাদেশের কিছু পীর নামের ব্যক্তি এরই সুযোগে মানুষকে মূল ধর্ম থেকে বিচ্যুত করে তাদের আর্থিক সফলতা চরিতার্থ করছেন

দেশে পীরের মুরিদদের কোনো পরিসংখ্যান যেমন নাই, পীরদের আয়ের কোনো ট্যাক্স নির্ধারণ করা নাই নিয়ন্ত্রণহীন, জবাবদিহিতার উর্ধে

 

পর্ব -

ইজ্জতআলীর প্রেস্টিজ

আত্মসন্মানবোধ কি ঐতিহ্য না অহংকারবিষয়টি এখানকার টাকার প্রাধান্যে সবকিছুর বিচারের যুগে এটা বাতুলতা মাত্র

আত্মসন্মামানবোধ আছে, তিনি নিজেকে চেনেন, তিনি অপরকেও সন্মান করতে জানেন

প্রিয় নবীজী (সা.)-এর দুটি নামঃ মুহাম্মদ (যা মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত, অর্থঃ প্রশংসিত) আরেকটি নাম আহম্মদ তাঁর মায়ের দেয়া, অর্থ প্রশংসাকারী দোষ না খুঁজে অপরের গুণগুলোর প্রশংসা করলেই প্রশংসনীয় হওয়া সহজ

অর্থনীতিবিদগণ সব কিছুকেই টাকায় মূল্যায়ন করেন সাদা আর কালো কালো টাকার উৎস্য আর উৎসাহই বেশি

বংশ মর্যাদা, পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিকতা, শিক্ষকের কথা পালনীয় বিবেচ্য ছিল কালো টাকার দৌড়াত্বে প্রথম বিসর্জন মান মর্যাদা

সৎউপার্জনে যে সন্মান নিহিত থাকে তা উপার্জনের চেয়েও বড়

 

পর্ব - ১০

ফেসবুক কী এবং কেনঅনিয়ন্ত্রিত_ড্রাগন

প্রযুক্তিঃ ছুরির মতন, ফল কেটে খাওয়া যায় আবার খুনও করা চলে যে যেমন ব্যবহার করবে তেমনি ফলাফল

প্রযুক্তি বিজ্ঞানের প্রয়োগিক শাখা আমরা প্রযুক্তিনির্ভর বাচ্চারা মোবাইলে কার্টুন দেখে খেতে হচ্ছে, গৃহিণীদের রান্না পুড়ে যাচ্ছে, আভিবাবকদের ফেসবুকের আশক্তি সন্তানদের পেরেন্টিং সঙ্গ থেকে বঞ্চিত করছে ফেসবুকের বন্ধু জীবনসাথী হচ্ছে, অনেক সংসারও ভাঙছে

মার্ক ইলিয়ট জাকারবার্গ (জন্ম ১৯৮৪) আমেরিকান মিডিয়া ম্যাগনেট ইন্টারনেট  এন্টারপ্রেনিউর তার অন্তর্নিহিত উদ্যেশ্য এখনো ধূম্রজাল

বাংলাদেশে ফেসবুক ফেব্রুয়ারি , ২০০৪ থেকে শুরু ইন্টারনেট নির্ভর, তাই বাঁধাহীন আদৌ ফেসবুক কি এতোটাই প্রয়োজনীয়?

ফেসবুকের লিব্রা ডিজিটাল কারেন্সি প্রচলনের ঘোষণা, আমেরিকার আইন রাজনীতিবিদের সমালোচনার মুখে পড়েছে


ক্যাটেগরিঃ কলাম,


রাগিব উদ্দিন আহ্ম্মদ

পরিবেশ বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ফটোগ্রাফার, গভীর সাগরের ডুবুরি, ভাস্কর, চিত্রশিল্পী