সম্প্রতি মিউজিশিয়ান
পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীতায়োজনে চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে ‘যুবতী রাধে’
গানটি ইউটিউবে প্রচারের পর থেকেই নানা বিতর্ক তৈরি হয়। সরলপুর নামে একটি ব্যান্ড
এই গানটি অনেক বছর ধরে গেয়ে আসছে। তারা দাবি করে গানটি তাদের। কিন্তু অনেকে বলছেন,
এটি একটি প্রচলিত লোকগীতি। এটি সরলপুরের সৃষ্ট কোনো সঙ্গীত নয়। সম্প্রতি সরলপুর ব্যান্ড -এর নামে
‘যুবতী রাধে’ গানটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার ২ নভেম্বর জনস্বার্থে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে স্ব-উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ‘যুবতী রাধে’ (‘সর্বত মঙ্গল রাধে’) গানটিকে চিরায়ত লোকগান হিসেবে বিবেচনা করে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। আইনজীবী বলেন, কপিরাইট নিবন্ধনের আইন অনুযায়ী Music Work (সঙ্গীত কাজ) টি অবশ্যই মৌলিক বা প্রথম উদ্ভাবিত হতে হবে।
লিগ্যাল নোটিশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, সরলপুর ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকালিস্ট তারিকুল ইসলাম তপন, সরলপুর ব্যান্ডের ম্যানেজার আল-আমিন, সরলপুর ব্যান্ডের সদস্য মারজিয়া আমিন তুরিন ও চ্যানেল -নাইন (ভার্গো মিডিয়া লিমিটেড) কে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, কবি দ্বিজ কানাই এর ‘মহুয়া’ পালা, শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য্যের লেখা ‘বাংলার লোক-সাহিত্য’ (২য় খণ্ড) ও বিমলকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘বাঙলার গ্রাম্যছড়া’ গ্রন্থটিতে প্রকাশিত লেখার সাথে সরলপুর ব্যান্ডের ‘যুবতী রাধে’ গানটির শব্দচয়নের প্রায় হুবহু মিল রয়েছে। চিরায়ত লোকগানগুলো কপি রাইট আইনে public domain music এর অংশ হয়ে থাকে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী বলেন, পাবলিক ডোমেনের মধ্যে যে কোনো গান বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্যাটেগরিঃ বিনোদন,
সাবক্যাটেগরিঃ মিউজিক,